বাতাসে আজ সুন্দর ঘ্রাণ
বাগানে বাগানে ফুলেরা ভীষণ সজাগ, সটান।
ঘরে ঘরে তুমুল ব্যস্ততা।
পাখিরাও আজ ভীষণ ব্যস্ত।
নাকের নীচে ঘাম মুছে সদ্য যৌবনে পা দেওয়া সুন্দরী যুবক যুবতীরা ছুটছে দলে দলে
রবীন্দ্রসদনে, রবীন্দ্রকাননে।
আজ রবীন্দ্রজয়ন্তী।
ব্যস্ত মা বাবা ভীষণ তৃপ্ত এই দৃশ্যে।
এ.সি ঘর ছেড়ে তারাও ছুটে যেতে চায় এই ভরা গ্রীষ্মে।
তারাও ছুটেছে একদিন,
তাদেরও মনে বেজেছে এমন বীন।
বহুদূরে বসে আছে ইজি চেয়ারে,
আশি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধ।
জীবনে এমন দিন এসেছিলো প্রতিবারই
নিজেকে করেছিলো শুদ্ধ।
সময় পাল্টায়।
মানুষ আসে, মানুষ চলে যায়।
স্বপ্নরা ভেজা ভেজা মেঘে মিলে
বহুদূরে ভেসে যায়।
তবুও ফি বছর রবীন্দ্রজয়ন্তী হয়।
চোখ তুলে তাকালেন বৃদ্ধ।
শুধালেন ১৬১ বছর বয়স হলো রবীন্দ্রনাথ,
কবে তমি বুড়ো হবে?
এখনো মৃত্যুর পরেও তোমার গ্রন্থি ভীষণ টানটান।
তুমি কি কোনোদিন বুড়ো হবে রবীন্দ্রনাথ?
সময় জমে জমে ক্ষয় হয়ে যাবে কাল,
তবুও তুমি বেঁচে থাকবে সকলের হৃদয়ে চিরটাকাল।
মহাশ্বেতা তার জীবনের সেরা ফুল শুধু কেন তোমাকেই দিয়েছিলো?