আমার গতিতে এখন,
তীব্র পশ্চিম ।
অথচ খোলা অলিন্দে হাসে
পূব দিগন্ত ,
প্রতিদিন অর্ক ছটায় ভাসে
দিগবলয়
রাঙা সে লোহিত রঙ ঊষা—-
রাতে সে অনন্ত।
নিশি শেষ, নিঃশব্দ
ঊষা নেয় বিদায়
কোনমতে মুখ ঢেকে ত্বরান্বিত
পায়,
চলে সে— নিঝুম ঝুমঝুম—
কিন্ত হায় !
আজও দেখেনি রবি
বিরহী ঊষার
নূপুর রুমঝুম।
প্রেমিক রবি তবু চায়
হয়ে উন্মুখ—
হবে না দেখা
ঊষা ও রবির
কোন সাক্ষ্যাৎসুখ ।
যতদিন সত্যবৎ
সৃষ্টি রবে, যথা
অনুক্ষণ,
নিত্য নীতি ঘূর্ণন
প্রাণ
ভবিষ্যত।
(ঋগ্বেদে উল্লেখ্য ঊষা আকাশ কন্যা। ১৷৯২৷৭ রাত্রি তার ভগিনী, ১৷১১৩৷৭ ঊষা ও রাত্রি দুজনেই সূর্যের স্ত্রী, ঊষা সূর্যের আগমন বার্তা ঘোষণা করে বিদায় নেন ১৷১১৩৷১৬। সাক্ষাৎ কোনদিন হয় না। আবার এও বলা হয়,রাত্রির দুহিতা ঊষা,ঊষার পুত্র সূর্য, সূর্যের কন্যা আবার রাত্রি। শুধু আগমন বার্তা অনুসারে,অনুধাবনে অস্পষ্ট যুক্তি।)