যৌবন (প্রলয়শিখা)
ওরে ও শীর্ণা নদী,
দু-তীরে নিরাশা বালুচর লয়ে জাগিবি কি নিরবধি?
নব-যৌবনজলতরঙ্গ জোয়ারে কি দুলিবি না?
নাচিবে জোয়ারে পদ্মা গঙ্গা, তুই রবি চির-ক্ষীণা?
ভরা-ভাদরের বরিষন এসে বারে বারে তোর কূলে
জানাবে রে তোরে সজল মিনতি, তুই চাহিবি না ভুলে?
দুই কূলে বাঁধি প্রস্তর-বাঁধ কূল ভাঙিবার ভয়ে
আকাশের পানে চেয়ে রবি তুই শুধু আপনারে লয়ে?
ভেঙে ফেল বাঁধ, আশেপাশে তোর বহে যে জীবন-ঢল
তারে বুকে লয়ে দুলে ওঠ তুই যৌবন-টলমল।
প্রস্তর-ভরা দুই কূল তোর ভেসে যাক বন্যায়,
হোক উর্বর, হাসিয়া উঠুক ফুলে ফলে সুষমায়।
একবার পথ ভোল,
দূর সিন্ধুর লাগি তোর বুকে জাগুক মরণ-দোল!
ভাঙ ভাঙ কারা, ফুলিয়া ফাঁপিয়া ওঠ নব যৌবনে!
বাঁচিতে চাহিয়া মরুপথে তুই মরিলি হীন মরণে।
সকল দুয়ার খুলে দে রে তোর, ভাসা এ মরু-সাহারা,
দু-কুল প্লাবিয়া আয় আয় ছুটে ভাঙ এ মৃত্যু-কারা।