মেয়েটা সারাদিন মাঠে থাকতো,
ধান বুনতো,
আগাছা নিড়াতো,
মাঠে জল দিত,
ফসল কাটতো,
ফসল গোলা ঘরে তুলতো,
কাজের মধ্যে পরচর্চা হতো
পরিবারের লোকেদের মধ্যে,
বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে।
ধান ব্যবসায়ী পছন্দ করলো মেয়েটিকে,
বিয়ে হল বড় পরিবারে,
অনেক বড়ো বাড়ি,
অনেক লোকজন,দাসদাসী,
অনেক খাবার, সাজসজ্জা,
ঠান্ডাঘর।
তবু মনমরা সে,
ঘুরতে গেল হাওয়াপথে স্বামীর সঙ্গে,
তবুও একাকী সে,
মনে পড়ে কাদা ভরা মাঠ,
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা,
মাঠভরা ফসল,
অবান্তর কথা,
সবকিছু ফেলে এসেছে পিছনে,
এই বৈভব বিলাস সে চায় না,
চায় ব্যস্ত জীবন।
স্বামী কিনল জমি,
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ শুরু হল,
মেয়েটি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হল,
অনেক অনেক চাষী নিযুক্ত হল,
আবার চললো চাষাবাদ,
চাষীদের ঘাম, সূর্যের তেজ, সোনালী ফসল, হাওয়ার সঙ্গে মাতোয়ারা ধানের শীষ,
এসবের মধ্যে সে খুঁজে পেল নিজেকে।