এক অভূতপূর্ব শব্দ মেঘের ভিতর দিয়ে
হেঁটে চলেছেন কবি ।
টুপটাপ গ’লে পড়ছে মেঘের মন্দিরা
চুপছাপ বৃষ্টির তালে ।
এই অনুপম দৃশ্যপটে কবির চেতনা বৃন্তে
ফুটে উঠছে যোজনগন্ধা অক্ষরের ফুল ।
বহুরঙা ছন্দের সুতোয় কীভাবে গাঁথা হচ্ছে
একটার পর একটা বহুমুখী কবিতার মালা ,
কবি প্রতিভার আশ্চর্য প্রকৃতি জানে ;
ধ্যানমগ্ন কবি সৃজন আনন্দে বিভোর
কবির কল্পতরু কলম জানে না বোধহয় ।
এই বিস্ময়কর মানবের নামই কী রবীন্দ্রনাথ !
যিনি শতাব্দীর শোক শুষে
আজও গাইয়ে নিতে পারেন
চিরায়ত জীবনের আশার সংগীত
” কে বলে গো , সেই প্রভাতে নেই আমি ? “
‘ আমি’ই যে চির-আমি , রিমঝিম জাতকের জিনে ।
ওই তো হাঁটছেন মেঘ – মোহনার কালচক্রে
‘ বিশ্ব -আমি’র আবহমান রবীন্দ্রনাথ ।