মাটির গন্ধে লেখা রয়েছে, বউ ঠাকুরানী হাট
ঊষায় রাঙ্গা নবীন প্রভাত, কঙ্কাবতীর ঘাট ।
ঘাটের সিঁড়িতে গ্রাম্য মেয়ে,একলা বাসন মাজে
ভ্রমর কালো চুলের গোছায়,মেঘলা আকাশ সাজে ।
সাজছে যত ধীবর মাঝি, রাঙ্গা মাটির দেশ
নোঙর করা নৌকা নদে,দুলছে হাওয়ায় বেশ ।
গরুগুলো চরছে মাঠে,খাচ্ছে সুখে ঘাস
এক পায়ে বক দাঁড়িয়ে থাকে,বিলেই বারোমাস ।
মাসের পরে মাস কেটে যায়,ধান পাকে ধান ওঠে
রাখাল বালক আপন মনে,খেলছে গাঁয়ের গোঠে ।
বাঁধের পরে কৃষ্ণচূড়া, দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়
গোধূলি বেলায় পরান মাঝি, মন খুলে গান গায় ।
গাইছে ভোরে ছোট্ট মেয়ে, ‘মাটি’ যে তার নাম
যাচ্ছে পথে পিয়ন ভায়া,ব্যাগ ভরা নীল খাম ।
উঠোন জুড়ে মারামারি,দুষ্টু ছেলের দল
মাখছে কাদা একমনে আর খেলছে ফুটবল ।
বিকাল বেলা আড্ডা জমে, মা কাকিমার ভিড়
তালগাছের ঐ পাতায় দোলে, বাবুই পাখির নীড় ।
ব্যস্ত সবুজ চঞ্চল মাঠ, শিশুদের কলতান
দিগন্ত জুড়ে সন্ধ্যা নামে দিবসের অবসান ।