জীবন যেন সুদৃশ্য মলাটের মতন
রঙবাহারী চাকচিক্যে জুড়ায় নয়ন
কেউ কেউ দেখে বিমোহিত,বাহবা দেয়
আবার ,কেউ বা ঈর্ষেতে চোখ টাটায়
পাতা উল্টালেই—অগুনতি কালো অক্ষর
যেন,লাখো লাখো পিঁপড়ের মৌন মিছিল
যাঁর জীবন ! সে অলক্ষ্যে চোখ মুছে আঁচলেতে
অবাধ্য,বেয়ারা ধারাপাতকে সংহত রাখতে
সব ব্যথার পদাবলীই কি জানতে, পড়তে
সকলেই পারে কখনো ?
সকলের কি আর সেই চোখ আছে?
না কি,নিজের মান খুইয়ে বলতে পারা যায়?
ওইতো সমাজ! কান পেতেই সারাক্ষণ
বিদ্রুপে ঝলসে উঠবে—-
শানানো বাক্যের সূঁচালো ছুরিতে–
বুক হবে ফালা ফালা
কি দরকার মেকি সহানুভূতির ?
স্তবকে স্তবকে পরতে পরতে—
সাজানো ব্যথারা,গ্লানির ভারে
বুকের চাতালে–হা-পিত্যেশে–
গড়াগড়ি দেয় নিদারুণ যন্ত্রণায় !
অকথ্য কষ্টের উন্মাদ উত্তাল ঢেউ
মলাটের ভেতরে চাপাকান্নায়—
গুমড়ে গুমড়ে ওঠে—-
দীর্ঘশ্বাসে বাতাস ভারী হয় শুধু
বহির্জীবনের তা’বলে কোনরকম
বিরোধাভাস নেই তাতে
কারন, জীবন যে মলাটের ভেতরে
মিশরের মমির মতো কফিন বন্দী !
আদৌ কি এর হেরফের হবে কোনদিন?