আমি ভালো আছি !
বেরঙীন দেওয়াল জুড়ে ,
ঝুল পড়া বারান্দার ঝুলন্ত ক্যাকটাসে।
মনে আছে তোর ,কতো শখ করে কিনেছিলাম আমরা !
বাঁচাতে পারিনি জানিস !
কেমন যেনো মুষড়ে পড়েছে !
ঠিক আমাদের সম্পর্কের মতো ।
যেদিন তুই ছেড়ে গেলি ;
বাড়ি ফিরে দেখি সদ্য ফোঁটা গোলাপটা’কে যেন দুমড়ে মুছড়ে থেঁতলে দিয়ে গেছে ।
তবু ভালো আছি ভীষণভাবে !
তোর অবহেলা মেখে পরতে পরতে ।
গেলো শ্রাবণের বৃষ্টি ভেজা শেষ বিকেলে ;
পুড়িয়েছিলি ভীষণ আগুণ তোর শ্রাবণে ,
কেটেছিল স্বপ্ন ছুঁয়ে ভোরের আজান ,
সন্ধ্যে বেলা মাটির প্রদীপ ঘোমটা টেনে ।
শীতের ভোরে কফির মগে তোর চুমুকে ,
উষ্ণতারা চিবুক হতে চিবুক ছুঁয়ে ,
খেলতো আঙুল তোর ছোঁয়াতেই অধর জুড়ে ।
ঠোঁটের পরাগ নিংড়ে নিতিস যেমন করে,
তেমনি করেই নিংড়ে হৃদয় ,
আষাঢ় শ্রাবণ ভাসতো গাঙে ।
সেই নদীটা স্রোতোস্বিনী ,
ঢেউ ছুঁতো তার কানায় কানায় ।
হঠাৎ করে কি যে হলো ?
হারিয়ে গেলো বিপন্নতায় ।
তবুও ভালো থাকতে হয় !
দুচোখ যখন বিহ্বলতায় ,
আনাচ কানাচ তোর গন্ধে মাতায় ,
স্নানঘর ভরে বাষ্পায়ণে ,
স্মৃতির কোলাজ জল ছবিতে ,
উন্মাদ হয়ে প্রেম হাতরায় ।
আমি ভালো আছি ,
ভীষণ ভালো আছি !
কফিন জুড়ে ছোট্ট ঘরে ,
মাটির ভিতর শীতল ছায়ে ।