আর কবিতার বই বেরোবে না অবন্তিকা, বের করব না,
তাই তোকে ফিরে পেতে স্মৃতি কুরে ওগরানো ঘুণপোকা
পদ্যের ভেতরে পুরে পাঠাচ্ছি তোর যত প্রেমিকের ভিড়ে,
হ্যাঁ, তোকে, ঠিক শুনেছিস তুই, মস্তিখোর বেটিং জমঘটে
গিয়ে খুলে দেখা তোর হেলেনিক ছাব্বিশি লালিমা
ছেঁড়া নোংরা ছাতাপড়া তাকার গাদায় তো শুস শুনি
নিজেকে ভাবিস বুঝি সুগন্ধী বাউন্সারে ঘেরা গাগা লেডি
লালটুশ প্রেমিকগুলোকে কেটে ফালি-মাংসে ঢেকেছিস
বডিখানা, ওফ কী তোল্লাই, সেই তুই, অ্যাঁ, ভেতোপান্তা !
এখন স্প্যাঘেটিস্ট্র্যাপে মলের এসকালেটরে উঠে খুঁজছিস
নতুন শিকার ; পেয়ে যাবি, তুই যা চিজ একখানি—
কেন বলতো ? না না চুমু খেয়ে ‘পারভার্ট’ বলে গাল
দিয়েছিলি বলে নয় । যেসব খুশবুদার মানেহীন নিঃশ্বাস
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে তুই দিয়ে কেটে পড়েছিলি, তার খেসারত
দিবি তুই, হ্যাঁ, তুই তুই তুই তুই দিবি । পড়েছি দুচোখে তোর
কোন কোন পুরুষের কোন অংশে ঠেকিয়েছিলিস জিভ
জড়াবার আগে-পরে, ঘুমন্ত ঘামের স্বাদ, স্কচে-ডোবা তাপ
বারান্দা থেকে ছুঁড়ে মেঘেতে ওড়ানো বাসি ট্যামপুনের সাথে
কোনো পদ্য-প্রেমিকের লক্ষাধিক ধাতুবীজে রচিত অক্ষর !