প্রতিবছর দাদা আসেন
বোনের ফোঁটা নিতে,
মন খারাপ মায়ের ভীষণ,
পারবেনা ফোঁটা দিতে!
ফোঁটা তুমি দেবেই দেবে
করোনার-ই কালে,
ঘরে বসেই দিও মা ফোঁটা
আমার ভিডিও কলে।
ভোলার কথায় মাতাজী তার
হলেন ভীষণ খুশি,
বেশ দেখছি বুদ্ধি ভোলার
বলেন কাজের মাসী।
পোলাও মাংস খাওয়াতেন মা
ভায়ের জন্য রেঁধে,
কেমন করে খাওয়াবেন এবার,
মা যে বলেন কেঁদে।
ভোলা বলে,সব-ই হবে মা
ভিডিওর-ই কলে,
ভাইফোঁটার ভোজটা মাটি,
করো না তাই-বলে।
ঠাকুরের নামে যেমন করে
ভোগ নৈবেদ্য দাও,
মামার সামনে তেমন করে
পঞ্চব্যঞ্জন সাজাও।
পুজো শেষে, যেমন করে,
ঠাকুরের প্রসাদ খাই,
তেমন করে আমরা যেন মা,
ফোঁটার প্রসাদ পাই।
মা-বলেন,পাজি ছেলের
কেবল খাওয়ার ধান্ধা,
ভাই ফোঁটার ভুরি ভোজটা
খেতেই নাছোড়বান্দা।