” ইয়ে জ্বল্ ক্যায়া রহা হ্যায়?”
এটা কি জ্বলছে?
কি জ্বলছে এটা?
এক নির্ভীক নারী সাংবাদিকের নিরন্তর প্রশ্ন,
নপুংসকের অধম পুলিশকর্তা নিরুত্তর!
নীরবতা জানান দিল চরম অন্যায়ের।
দিল্লি – উন্নাও-কাঠুয়া-হাথরস-বলরামপুর-বক্সার,
নির্ভয়া, আসিফা, প্রিয়াংকা, মনীষা……………
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে তালিকা নিত্যদিন!
রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে ধর্ষকদের পৈশাচিক উল্লাস চলছে।
গভীর রাত, নিশ্ছিদ্র পুলিশি বেষ্টনী ,
উন্মুক্ত প্রান্তরে ডিজেলে পুড়ছে এক যুবতী,
ধর্ষিতা-মৃতা-জিভ কাটা-মেরুদন্ড ভাঙা,
নিশুতি নির্জন রাতের আকাশে- বাতাসে ভাসছে একটাই প্রশ্ন :
” এটা কী জ্বলছে?”
জ্বলছে এক হতদরিদ্র দলিত ধর্ষিতা তরুণী,
জ্বলছে ভারতের চিরন্তন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি,
জ্বলছে আমাদের এক মেয়ে বা বোন,
জ্বলছে ভারতমাতার এক কন্যা সন্তান,
জ্বলছে নারীর সম্মান ও অধিকার,
জ্বলছে আমাদের মনুষ্যত্ব ও বিবেকবোধ,
জ্বলছে আমাদের মহান গণতন্ত্রের ধ্বজা,
জ্বলছে দেশের আইন ও বিচার,
জ্বলছে দেশের সম্মান – সংবিধান,
পুড়ে ভস্ম হয়ে যাচ্ছে সবকিছু!
প্রতিবার এক চিত্র – মোমবাতি মিছিল প্রতিবাদ,
কয়েক দিন বাদে সব স্তিমিত স্বাভাবিক,
পরবর্তী ধর্ষণ ও নৃশংস মৃত্যুর অপেক্ষা,
ইতি টানার মুখে এসে গেল বালিয়া থেকে সংবাদ,
সপ্তদশবর্ষীয়া দলিত তরুণী বর্বরতার শিকার,
আমরা সবাই সত্যিই জ্বলে উঠবো কবে??
আর কবে? কবে? কবে??
উড়ছে যে ওদিকে একটাই প্রশ্ন :
” এটা কী জ্বলছে?”
কানে বড্ড বাজছে কথাটা,
হৃদয়ে বড্ড হুল ফোটাচ্ছে কথাটা ।