আজ থেকে দশ বছর আগে ছিল কোনো এক শ্রাবণ দিন,
যেখানে সাপুরিয়ারা গ্রামে এসে বাজাতো বিন।
বৃষ্টি পথে চলতে চলতে হঠাৎ থেমে গেছে,
না জানি কি নিদারুণ যন্ত্রণা তাদের হয়েছে।
ভেকের দল ডাকছে পুকুর পাড়ে নিজের মতো করে,
জেলে ভাইরা জাল বিছিয়েছে সুখটি শুধু ধরে।
গাইছে আনন্দে কত রকম গান মাছটি পাবে বলে,
সত্যিই তাদের ওতেই আনন্দ এই পৃথিবীর ধরাতলে।
বৃষ্টি পড়ছে মাঠের প’রে খেলছে শিশুর দল,
হাতে তাদের ব্যাট রয়েছে খেলছে নিয়ে বল।
সাঁঝের বেলা নেই যে হুশ তবুও খেলছে তারা,
বৃষ্টি তাদের করেনি কাবু মাঠে নেমেছে যারা।
তপ্ত মাঠে যেই নেমেছে বৃষ্টি জলের ধারা,
অমনি দেখি কৃষক ভাইদের কত রোপণের তাড়া।
কনক ধান্যে ভরবে ধরণী এটাই তাদের আশা,
তাইতো তারা বৃষ্টির জলে করছে আনন্দে বাসা।
বৃষ্টি নেমেছে পুকুর ঘাটে স্নানে রয়েছে ছেলেমেয়েরা,
জল ছিটিয়ে স্নান করছে ভরপুর নদীতে তারা।
বৃষ্টি এসেছে গাছের আগায় সবুজ পত্র লয়ে,
কেমন করে নব পত্র জাগিয়েছে মন্ত্র কয়ে।
বৃষ্টি নেমেছে সাগর পাড়ে জল থৈ থৈ আজ,
দূরীভূত আজ তপ্ত বালি দেখ তোরা ওর সাজ।
বৃষ্টি নেমেছে ঘাসের উপরে অপূর্ব ভিজের সাজে,
লজ্জাবতী মুখটি টিপে হাসছে দেখো লাজে।
বৃষ্টি নেমেছে পাহাড়ে আজ তরুর সাথী করে,
পথ ঘাট শুষ্ক নেই রে শুধু সেজেছে নব বহু ডোরে।
পথিক আজ বিশ্রামে রয়েছে বট বৃক্ষের তলে,
জানে সেথায় বৃষ্টি পড়বে না পত্র ছায়ার ছলে।
বৃষ্টি আজ পেয়েছে চাতক তৃষ্ণার্ত বুকের তরে,
কেমন করে জানাবে সে কত তৃপ্ততার স্বাদ ভরে।
বৃষ্টি এসেছে মরুভূমিতে তপ্ত বালুকা সব ভেজে,
আনন্দ উল্লাসে পল্লীবাসী সেজেছে নতুন সাজে।
বৃষ্টি নেমেছে প্রকৃতির নিয়মে বর্ষা রাণীকে নিয়ে,
কত উষ্ণতা গিয়েছে চলে শুষ্ক রুক্ষতা ভুলে গিয়ে।
বর্ষাকে তাই বলেছে রানী যেভাবে জগৎ সংসার বাঁচায় প্রাণ,
বৃষ্টি কন্যা রেখেছে দেখো সংসারের বড় অবদান।