সাইকেল তুমুল বর্ষা। চারা রুইবার সময় আসতে-না-আসতেই যেন ভাদ্রর শেষের

শান্তুকে পাওয়া যাচ্ছে না আজ অফিসে খুব খাটুনি গেছে। বাড়ি

আলঝাইমার এ কী! তপেনদা! হঠাৎ এদিকে কী মনে করে? লিফট-এর

সারগুনা পাখি ও ঝিঞ্চিটি মাতাজী ছোটোনাগপুরের যে অখ্যাত শহরে লেখার

পারিজাত পারিং আপনাদের এই মণিপুর এবং তার রাজধানী ইম্ফল থেকে

শারদপ্রাতে পুজো তো আসছে, এসেই গেল, এবার পুজোয় কী করবি

ধোঁকার ডালনা ড্রাইভার শিউশরণ গাড়ি আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারাজে পার্ক করে এসে

ঝুমরি-তিলাইয়ায় অনিকেতকে ট্রেনটা কোডারমা স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল গয়ার

ভগবানের ভাগনে স্কুল ছুটি হতে আর দু-দিন বাকি। সুকোমল মা-বাবার

হাটগামারিয়ার আয়না বাসটা ধুলো উড়িয়ে চলে গেল। ওরা তিন জনে

কিরণকাকুর শ্রাদ্ধ অফিস থেকে ফিরতেই বাবা বললেন, রতন এসেছিল কিরণবাবুর

আপাত শুভ্র আমার সঙ্গে পতুবাবুর, মানে পতুমেসোর আলাপ, বলতে গেলে

প্রান্তিক মিস্টার হোড় বললেন, ব্রিলিয়ান্ট, সত্যিই ব্রিলিয়ান্ট। আসলে একা মিস্টার

ওয়ার্ল্ড-কাপ, এবং… একটু আগেই বৃষ্টি হয়ে গেছে এক পশলা। আজাদ

স্বর দূর থেকে সমুদ্র দেখা যাচ্ছিল। যুবক সকালের চোখ ঝলসানো

শেষ-বিকেলের প্যাসেঞ্জার চৌপান প্যাসেঞ্জারের গতি কমে এল। জানলা দিয়ে মুখ

আমাদের সময়ে পাটাদার বড়ো ছেলে বিলুর বউভাতে বহু বহু বছর

বাখরাবাদের ভুবন বউদিরা সকলেই ভুবনকে ভালোবাসতেন। ওর মাথার একটু গোলমাল

সাঁঝবেলাতে তোমার হাসিটি কিন্তু ঠিক সেরকমই আছে। তাই? হুবহু। রুবি

ফটকে ফটকে সারারাত আলা পাহারা দিয়েছিল। এই আলায়, এই ভেড়িতে,

সগর রাজা দিদি, জামাইবাবু গেলেন কোথায়? এখনও এলেন না তো।

কম্পাস কুকু-র সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল সেদিন আমার এক

মিছিমিছি ভাইফোঁটার পরে স্কুল খুলেছে বেশ কিছুদিন হল। মডার্ন স্কুল

বাঘের দুধ ডানদিকে কোথায় চললি রে শালাতেহারের পথ কি এদিকে

টিটিচিকোরি ভবানীপুরের গঙ্গাপাড়ের একটি জরাজীর্ণ ভাড়াবাড়িতে রায়পরিবার থাকতেন আজ থেকে

উড়ান অফিস থেকে ফিরতে বড়োই দেরি হল মীর। ক-দিন ধরে

চারজন উটওয়ালা ও ক্যামাক স্ট্রিটের ফ্ল্যাট নতুন অফিস নিয়েছি হেস্টিংস-এ।

বানপ্রস্থ লাইমুকরা থেকে বাসে চেপে এসে বসন্তবাবু পুলিশ বাজার আর

নবীন মুহুরি সামনে খেরোর খাতাটা খোলা ছিল। খতিয়ান। জাবদা থেকে

কাঁচপোকার দিন বৈশাখের দুপুরের একটা নিজস্ব গায়ের গন্ধ আছে। সে

পহেলি পেয়ার হাঁটা পথে মাইল তিনেক পড়ত। পঁয়তাল্লিশ মিনিট থেকে

লেখক হওয়া কলকাতা থেকে শ্যামল এসেছিল। আজই ফিরে গেল। ওকে

ঝুলা বোম্বে শহরের এই দিকটি বেশ নিরিবিলি। দোকান-পাটও কম। কাফ-প্যারেডের

বুলির পা রাসবিহারী অ্যাভিনিউ আর ল্যান্সডাউন রোডের মোড়ে লাল আলোতে

টাকার গাছ ভোর হয়ে গেছে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এতক্ষণে রোদে

বাদাম পাহাড়ের যাত্রী বাংরিপোসির বাংলোর অন্ধকার বারান্দাতে পাশাপাশি ওরা দুজনে

কাজিরাঙা ক্যালকাটা ক্লাবে গত শনিবার হঠাৎ মণীসদার সঙ্গে দেখা সুব্রতর।

ডিড ইউ ডু ইট? অশেষেরও বিয়ে হয়েছিল মুঙ্গেরে। যদিও অনেক

সামিল পার্ক স্ট্রিট আর সার্কুলার রোডের মোড়ে এসে বাসটা হঠাৎ

বাবা হওয়া ডাকবাংলোটা থেকে নদীটা দেখা যাচ্ছিল। সামনে একটা খোয়ার

গানের সামুকাকা বাইরে বিকেল হয়ে এল। জীবনেও বিকেল হব হব।

অন্য রকম সুমিত্রা ফোন করেছিল। বলল, নির্মলদা, অলকাদি এসেছে। কবে?

ছানি আজ মহাষ্টমী। এবারে রবিবার পড়ে গিয়ে সপ্তমীর ছুটিটাই মারা

স্বামী হওয়া মহুয়া মিলন থেকে আসা ট্রেনটা টোরী স্টেশনে ঢুকছিল।

লিখন এখনও রওয়ানাই হওয়া গেল না। কখন যে কী হবে

কুকুর-মেকুরের গল্প মামা। অ মামা! দেকিচো, এরা ক্যানাল বানানও জানে

আইনানুগ ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। ভারতের সব রাজ্যেই শিকারের

ম্যাথস বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশে চড়ার অঙ্কই হোক, কী চৌবাচ্চার জল

খেলনা শেষের বাসটি চলে গেল। ইম্ফলের দিকে। চৈতি বারান্দায় দাঁড়িয়ে

একজন ইডিয়টের গল্প বহুদিন পরে পুরীতে এলাম। এসে পুরী এক্সপ্রেস

নাশা সারা দিন কাজে একেবারেই মন বসছিল না নিমেষের। বড়োবাবু

দূরবীনের দুদিক মেঘের এইমাত্র ঘুম ভাঙল। সারা রাত টাপুর-টুপুর করে

মাপ এ কী! হাতল দুটো এরকম করলেন? আঁজ্ঞে? কী যে

গন্ধী একটু আগেই এক পশলা জোর বৃষ্টি হয়ে গেছে। কাক

বাইয়ানী একটা তিনছক আছে। বালিয়াড়ি আর ঝাউবনের ভিতর দিয়ে দীর্ঘ

তা প্রথম দিন অফিস থেকে ফিরে প্রমীলাকে দেখেই চমকে উঠেছিলাম।

সন্তোষ এবং একটি সেদ্ধ ডিম এবারে কোথাওই বৃষ্টি নেই। শান্তিনিকেতনেও

দুঃসময় রাত তখন সাড়ে এগারোটা। ফোনটা বেজে উঠল। রিসিভারটা তুলে

জে ফর জেলাসি দেরিটা নেরুলকারের সঙ্গে মিটিং-এর জন্যেই হল। বৃষ্টিও

ব্রন্টি দিনের কাজ প্রায় শেষ, এবার উঠব অফিস থেকে। ঘড়িতেও