বাবা হওয়া ডাকবাংলোটা থেকে নদীটা দেখা যাচ্ছিল। সামনে একটা খোয়ার

ভি সি আর রুরু কোথায় গেছে? সীমা বারান্দায় এলে সৌম্য

শান্তুকে পাওয়া যাচ্ছে না আজ অফিসে খুব খাটুনি গেছে। বাড়ি

দুঃসময় রাত তখন সাড়ে এগারোটা। ফোনটা বেজে উঠল। রিসিভারটা তুলে

মুন্নির বন্ধুদের জন্য এমনিতেই কয়েকদিন হল এক চাপা টেনশনে ভুগছি।

আপাত শুভ্র আমার সঙ্গে পতুবাবুর, মানে পতুমেসোর আলাপ, বলতে গেলে

শারদপ্রাতে পুজো তো আসছে, এসেই গেল, এবার পুজোয় কী করবি

কাজিরাঙা ক্যালকাটা ক্লাবে গত শনিবার হঠাৎ মণীসদার সঙ্গে দেখা সুব্রতর।

নাশা সারা দিন কাজে একেবারেই মন বসছিল না নিমেষের। বড়োবাবু

ছানি আজ মহাষ্টমী। এবারে রবিবার পড়ে গিয়ে সপ্তমীর ছুটিটাই মারা

চারজন উটওয়ালা ও ক্যামাক স্ট্রিটের ফ্ল্যাট নতুন অফিস নিয়েছি হেস্টিংস-এ।

ফটকে ফটকে সারারাত আলা পাহারা দিয়েছিল। এই আলায়, এই ভেড়িতে,

সাইকেল তুমুল বর্ষা। চারা রুইবার সময় আসতে-না-আসতেই যেন ভাদ্রর শেষের

ধোঁকার ডালনা ড্রাইভার শিউশরণ গাড়ি আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারাজে পার্ক করে এসে

সামিল পার্ক স্ট্রিট আর সার্কুলার রোডের মোড়ে এসে বাসটা হঠাৎ

মাপ এ কী! হাতল দুটো এরকম করলেন? আঁজ্ঞে? কী যে

হাটগামারিয়ার আয়না বাসটা ধুলো উড়িয়ে চলে গেল। ওরা তিন জনে

কম্পাস কুকু-র সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল সেদিন আমার এক

সন্তোষ এবং একটি সেদ্ধ ডিম এবারে কোথাওই বৃষ্টি নেই। শান্তিনিকেতনেও

দ্বীপান্তর একটু আগে ঝড় উঠেছিল। ভীষণ ঝড়। এত বড়ো বড়ো

চিন্টুদের বাড়ি আজ অফিস যাইনি। ছুটি জমে গেছিল অনেক। বাইরে

ইঁদুর -1 একটা ইঁদুর খাটের তলা থেকে দৌড়ে বেরিয়ে সোজা

ওয়ার্ল্ড-কাপ, এবং… একটু আগেই বৃষ্টি হয়ে গেছে এক পশলা। আজাদ

বাঘের দুধ ডানদিকে কোথায় চললি রে শালাতেহারের পথ কি এদিকে

বানপ্রস্থ লাইমুকরা থেকে বাসে চেপে এসে বসন্তবাবু পুলিশ বাজার আর

জে ফর জেলাসি দেরিটা নেরুলকারের সঙ্গে মিটিং-এর জন্যেই হল। বৃষ্টিও

কাঁচপোকার দিন বৈশাখের দুপুরের একটা নিজস্ব গায়ের গন্ধ আছে। সে

প্রান্তিক মিস্টার হোড় বললেন, ব্রিলিয়ান্ট, সত্যিই ব্রিলিয়ান্ট। আসলে একা মিস্টার

কিরণকাকুর শ্রাদ্ধ অফিস থেকে ফিরতেই বাবা বললেন, রতন এসেছিল কিরণবাবুর

লিখন এখনও রওয়ানাই হওয়া গেল না। কখন যে কী হবে

গন্ধী একটু আগেই এক পশলা জোর বৃষ্টি হয়ে গেছে। কাক

উড়ান অফিস থেকে ফিরতে বড়োই দেরি হল মীর। ক-দিন ধরে

ডিড ইউ ডু ইট? অশেষেরও বিয়ে হয়েছিল মুঙ্গেরে। যদিও অনেক

টাকার গাছ ভোর হয়ে গেছে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এতক্ষণে রোদে

ম্যাথস বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশে চড়ার অঙ্কই হোক, কী চৌবাচ্চার জল

দূরবীনের দুদিক মেঘের এইমাত্র ঘুম ভাঙল। সারা রাত টাপুর-টুপুর করে

অন্য রকম সুমিত্রা ফোন করেছিল। বলল, নির্মলদা, অলকাদি এসেছে। কবে?

নবীন মুহুরি সামনে খেরোর খাতাটা খোলা ছিল। খতিয়ান। জাবদা থেকে

টিটিচিকোরি ভবানীপুরের গঙ্গাপাড়ের একটি জরাজীর্ণ ভাড়াবাড়িতে রায়পরিবার থাকতেন আজ থেকে

পারিজাত পারিং আপনাদের এই মণিপুর এবং তার রাজধানী ইম্ফল থেকে

তা প্রথম দিন অফিস থেকে ফিরে প্রমীলাকে দেখেই চমকে উঠেছিলাম।

পুতলি বাই কী গোলি রমিতা খাটে বসে ছিল। জোড়াসনে। কোলের

আইনানুগ ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। ভারতের সব রাজ্যেই শিকারের

ভগবানের ভাগনে স্কুল ছুটি হতে আর দু-দিন বাকি। সুকোমল মা-বাবার

সারগুনা পাখি ও ঝিঞ্চিটি মাতাজী ছোটোনাগপুরের যে অখ্যাত শহরে লেখার

খেলনা শেষের বাসটি চলে গেল। ইম্ফলের দিকে। চৈতি বারান্দায় দাঁড়িয়ে

মিছিমিছি ভাইফোঁটার পরে স্কুল খুলেছে বেশ কিছুদিন হল। মডার্ন স্কুল

শেষ-বিকেলের প্যাসেঞ্জার চৌপান প্যাসেঞ্জারের গতি কমে এল। জানলা দিয়ে মুখ

কুকুর-মেকুরের গল্প মামা। অ মামা! দেকিচো, এরা ক্যানাল বানানও জানে

স্বামী হওয়া মহুয়া মিলন থেকে আসা ট্রেনটা টোরী স্টেশনে ঢুকছিল।

বাদাম পাহাড়ের যাত্রী বাংরিপোসির বাংলোর অন্ধকার বারান্দাতে পাশাপাশি ওরা দুজনে

সগর রাজা দিদি, জামাইবাবু গেলেন কোথায়? এখনও এলেন না তো।

পহেলি পেয়ার হাঁটা পথে মাইল তিনেক পড়ত। পঁয়তাল্লিশ মিনিট থেকে

আমাদের সময়ে পাটাদার বড়ো ছেলে বিলুর বউভাতে বহু বহু বছর

তিস্তা প্ল্যাটফর্মের বাইরে এসে হু-হু হাওয়ায় সকালের রোদে দাঁড়িয়ে তিস্তার

ব্রন্টি দিনের কাজ প্রায় শেষ, এবার উঠব অফিস থেকে। ঘড়িতেও

গানের সামুকাকা বাইরে বিকেল হয়ে এল। জীবনেও বিকেল হব হব।

বাইয়ানী একটা তিনছক আছে। বালিয়াড়ি আর ঝাউবনের ভিতর দিয়ে দীর্ঘ

ঝুমরি-তিলাইয়ায় অনিকেতকে ট্রেনটা কোডারমা স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল গয়ার

ঝুলা বোম্বে শহরের এই দিকটি বেশ নিরিবিলি। দোকান-পাটও কম। কাফ-প্যারেডের