Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » বিশ্বমামার রহস্য || Sunil Gangopadhyay

বিশ্বমামার রহস্য || Sunil Gangopadhyay

বিশ্বমামার রহস্য

আমার বিশ্বমামা প্রায় সারা বিশ্বেরই মামা।

আমার মা-মাসিরা সাত বোন। তাদের ওই একটিই ভাই। আমরা মাসতুতো ভাই-বোনেরা মিলে উনিশ জন, আমাদের সকলের ওই একমাত্র মামা। আমাদের দেখাদেখি পাড়ার ছেলেমেয়েরাও ওঁকে মামা বলে ডাকে।

বিশ্বমামা প্রায়ই দেশ-বিদেশে বক্তৃতা দিতে যায়। বিদেশিরা ওঁর নামটা ঠিক মতো উচ্চারণই করতে পারে না। তারা বিসওয়া-বিসওয়া বলে। তাই বিশ্বমামা অনেককে বলেন, ক মী মামা, এটা আমার ডাক নাম। মামা বলাটা বেশ সোজা। তাই বিশ্বমামা এখন অনেক সাহেব-মেমদেরও মামা বনে গেছে।

বিশ্বমামা বেশ আমুদে মজার মানুষ।

যদিও খুব নামকরা বিজ্ঞানী। দেশ-বিদেশে খুব খাতির। কিন্তু বাড়ির মধ্যে একেবারে ছেলেমানুষের মতন। কাঁচা আম পাতলা-পাতলা করে কেটে নুন দিয়ে খেতে খুব ভালোবাসেন। ফুচকা খেতে ভালোবাসেন। সিঁড়ি দিয়ে একসঙ্গে নামবার সময় হঠাৎ বলেন, কম্পিটিশান দিবি, কে আগে নামতে পারে? বলেই দুদ্দাড় করে দৌড়তে শুরু করেন। দারুণ শক্ত কোনও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লিখতে লিখতে উঠে এসে বসেন, এই লুডো খেলবি?

বাইরের লোকরা অবশ্য কেউ এইসব কথা জানে না।

সাধারণত বৈজ্ঞানিকদের দাড়ি থাকে, গোঁফ থাকে, মোটা কাঁচের চশমা আর মাথায় থাকে টাক। বিশ্বমামার কিন্তু দাড়ি-গোঁফ কিচ্ছু নেই। আজও তার চশমা লাগে না, মাথায় চুলও যথেষ্ট। লম্বা ছিপছিপে চেহারা। নাকটা একটু বেশি লম্বা। গায়ের রং বেশ ফর্সা বলে ছোটবেলায় ওঁকে অনেকে বলতো, নাকেশ্বর ধপধপে। এখন অবশ্য এই নামটা আর বিশেষ কেউ বলে না। তবে আমরা জানলুম কী করে?

বিশ্বমামা মাঝে-মাঝে খাওয়া-দাওয়া ভুলে গবেষণার কাজে ডুবে থাকলে আমার মা বলত, এই নাকেশ্বর ধপধপে, তোর কি খিদে-তেষ্টা কিছু নেই? একটা কিছু আবিষ্কার কর দেখি, যাতে মানুষের খিদের সমস্যা ঘুচে যায়।

বিশ্বমামার অনেক গুণ কিন্তু একটা খুব বড় দোষ আছে। কিছুতেই কোনও কথার সোজাসুজি উত্তর দেন না! এক এক সময় তাতে আমাদের খুব রাগ ধরে।

এই যেমন বিশ্বমামা এক বছরের জন্য কানাডায় গিয়ে ছিলেন, ফিরে এসেছেন কয়েকদিন আগে। আমি জিগ্যেস করলাম, বিশ্বমামা তুমি ওখানে নায়েগ্রা ফলস দেখেছ?

বিশ্বমামা চোখ বড়-বড় করে বলল, ওরে বাবা, এবারে কী হয়েছিল জানিস? ওরা আমায় ধরে রাখতে চাইছিল। প্রায় জোর করে।

আমি বুঝতে না পেরে জানতে চাইলুম, ওরা মানে কারা? নায়েগ্রার কাছে কারা তোমায় ধরে রাখতে চেয়েছিল?

বিশ্বমামা বললেন, অ্যাথাবাসস্কা! অ্যাথবাস্কা! বলে কী, তুমি এইখানে থাকো, মামা, তোমাকে অনেক টাকা পয়সা দেব! বিরাট বাড়ি দেব, নতুন গাড়ি দেব, যা তুমি চাও! এখানে থেকে তুমি ওই কাজটা করো। আমি বললুম, উঁহু, সেটি হচ্ছে না। আমি নিজের দেশে ফিরে এই কাজ করব। আমার দেশের যাতে উপকার হয়। সেটা আমি দেখব না?

বোঝ ঠ্যালা! কোথায় নায়েগ্রা জলপ্রপাত আর কোথায় অ্যাথাবাঙ্কা!

যাই হোক, নায়েগ্রার কথাটা মুলতুবি রেখে আমি জিগ্যেস করলাম, ওই কাজ মানে কী কাজ? কীসে আমাদের দেশের উপকার করে?

বিশ্বমামা মুচকি হেসে বলল, হাজারিবাগে ছোড়দিদের খবর কী রে? ভাবছি, সেখানে একবার বেড়াতে যাব!

এসব বোঝে কার সাধ্য!

এসব কথা শুনলে মনে হয় খুবই এলোমেলো, কিংবা বিশ্বমামার মাথার গোলমাল আছে, আসলে কিন্তু তা নয়। এইসব কথার মানে বোঝা যায় কয়েকদিন পর।

কানাডা থেকে বিশ্বমামা এবার এক বাক্স ভর্তি পাথর নিয়ে এসেছেন। সেগুলো কিছু দামি পাথর বলে মনে হয় না। এমনি সাধারণ বেলে পাথরের মতন। ছোট, বড় নানান রকমের টুকরো।

অত দূর থেকে বয়ে এনেছেন পাথরগুলো। কিন্তু নিজের ঘরে যেখানে-সেখানে ছড়িয়ে রেখেছেন। একটা-দুটো কেউ নিয়ে গেলেও যেন ক্ষতি নেই। কিন্তু কেই বা নেবে? কানাডার পাথর বলে আলাদা করে তো কিছু বোঝা যায় না। ওরকম পাথর আমাদের এখানেও কত পাওয়া যায়।

একদিন দুপুরে বিশ্বমামার ঘরে গিয়ে দেখি যে, সব কটা জানলা বন্ধ। অন্ধকার ঘরে আলো জ্বেলে বিশ্বমামা কীসব লিখছেন। একটু উঁকি মেরে দেখলুম, দারুণ কঠিন সব অঙ্ক।

কিন্তু দিনের বেলায় এরকম জানলা বন্ধ রাখার কী মানে হয়? বাইরে বেশি লোকও নেই, বেশ মেঘলা-মেঘলা সুন্দর দিন।

আমি একটা জানলা খুলতে যেতেই বিশ্বমামা চেঁচিয়ে উঠে বলল, খুলিশ না! খুলিস না! জানলা খুললে বিপদ হতে পারে। দেখছিস না। আমি তিন-চারদিন বাড়ি থেকে বেরুচ্ছি না একদম! ওরা বোধহয় আমাকে খুন করতে চায়!

আমার পিলে চমকে উঠল খুব! কী সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার!

কিন্তু বিশ্বমামা এমনভাবে বললেন যেন খুনটা কিছুই না। কেউ যেন সন্দেশ খেতে চায় কিংবা দোলনায় দুলতে চায়।

আমি বললুম, কারা তোমাকে খুন করতে চায়! তাহলে তো এক্ষুনি খবব দিতে হবে!

বিশ্বমামা বললেন, ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছিস। এখন কাছাকাছি কী পুজো আছে বল তো? কুমোরটুলিতে এখন কী মূর্তি গড়া হচ্ছে?

কুমোরটুলির মূর্তি!

তুই এক কাজ করতো, নীলু। তোকে আমি পাঁচশো টাকা দিচ্ছি। কুমোরটুলি থেকে আজই একটা মূর্তি কিনে নিয়ে আয় তো! ও হ্যাঁ শিগগিরই তো বিশ্বকর্মা পুজো। বিশ্বকর্মার মূর্তি হলেই চলবে। শুধু নাকটা একটু বেশ লম্বা করে দিবি! অনেকটা যেন

আমার মতন মুখটা দেখতে হয়।

তোমার মতন মূর্তি!

হ্যাঁ, শিগগির চলে যা। বিলুর তো একটা ভ্যান আছে। সেই গাড়িতে শুইয়ে, ঢাকাটুকি দিয়ে নিয়ে আসবি, কেউ যেন দেখতে না পায়।

জোর করে আমার হাতে টাকা গুণে দিয়ে বলল, যা, যা, দেরি করিস না। এক্ষুনি চলে যা।

আমাকে যেতেই হল। এরপর একটার পর একটা চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে লাগছিল।

বিলু আমার মাসতুতো দাদা। সে ভালো গাড়ি চালায়। তার একটা পুরোনো ভ্যান আছে।

বিলুদা জানে, বিশ্বমামা সব সময় রহস্য করে কথা বলে। পরে যাতে বোঝা যায়। আমার কথা শুনে বলল, চল, একটা মূর্তি কিনে আনি। তারপর দেখা যাক কী হয়।

বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সাতেক দেরি আছে বটে কিন্তু কুমোরটুলিতে এর মধ্যেও অনেক মূর্তি গড়া হয়ে গেছে। একটু কাঁচা দেখে একটা মূর্তি নিয়ে আমরা কুমোরকে বললুম, নাক-চোখ খানিকটা পালটে দিতে।

সেই মূর্তি এনে রাখা হল বিশ্বমামার ঘরে।

বিশ্বমামা বললেন, বাঃ বেশ হয়েছে। এ যে ঠিক আমার মতন। তোরা এখন যা। আমাকে ডিসটার্ব করিস না। রাত্তিরে বারোটার সময় আমার ঘরে আসিস। কাউকে কিছু বলবি না।

তারপর থেকে আর আমাদের সময় কাটে না। কখন সন্ধে হবে। কখন রাত্তির হবে?

ঠিক বারোটায় বিশ্বমামার ঘরে আসতেই তিনি বললেন, এসেছিস! এবার এক কাজ করা যাক। মূর্তিটা টেনে সামনের জানলার কাছে নিয়ে আয় তো।

আমরা সবাই ধরাধরি করে সেটাকে নিয়ে এলাম জানলার কাছে, মুখটা করা হল রাস্তার দিকে, তারপর খুলে দেওয়া হল জানলা। এবার মনে হল বিশ্বমামাই যেন জানলা দিয়ে রাস্তা দেখছেন।

বিশ্বমামা বললেন, এবার সবাই খাটের নিচে শুয়ে পড়। শুয়ে পড়। একটা মজা । দেখতে পাবি।

আমরা শুয়ে রইলাম খাটের নিচে। বিশ্বমামা ঠোঁটে আঙুল দিয়ে আছে। কথা বলাও বারণ। এক-একটা মিনিট কাটছে এক ঘণ্টার মতন।

খানিক বাদেই পর-পর দুটো গুলির শব্দ হল।

মাটির মূর্তিটা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল!

বিশ্বমামা বললেন, দেখলি-দেখলি ওরা আমায় খুন করতে চায় কিনা?

বিলুদা আর আমি একসঙ্গে বলে উঠলাম, ওরা কারা, কে তোমায় খুন করতে চায়?,

বিশ্বমামা বললেন, হাজারিবাগ! আমার এক্ষুনি হাজারিবাগ যাওয়া দরকার। রাস্তা এখন ক্লিয়ার। গুলি ছোঁড়ার পর ওরা আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে না। বিলু, আজ রাত্তিরে তোর গাড়িতে আমায় হাজারিবাগ পৌঁছে দিতে পারবি।

আধ ঘণ্টার মধ্যে সব ব্যবস্থা হয়ে গেল। বিশ্বমামা যখন যা চাইবে, তাতে দেরি করা চলবে না।

বিশ্বমামা নিজের গবেষণার কিছু যন্ত্রপাতি, জরুরি কাগজপত্র আর কানাডার সেই পাথরগুলো গাড়িতে বোঝাই করলেন। হাজারিবাগে কত পাথর আছে, তবু এগুলো নিয়ে যাওয়ার দরকার কী?

কিন্তু জিগ্যেস করে কোনও লাভ নেই। উত্তর পাব না।

গাড়ি চালাতে লাগলেন বিলুদা, তার পাশে আমি। পেছনে বিশ্বমামা।

বিশ্বমামা বারবার পেছনের দিকে তাকাতে লাগলেন। আমাকে বললেন, নীলু লক্ষ রাখবি। কেউ আমাদের ফলো করছে কিনা। সেরকম সন্দেহ হলেই পালটাতে হবে!

এত রাত্তিরে রাস্তা একেবারে ফাঁকা। গাড়ি বিশেষ নেই। কলকাতা ছাড়িয়ে আমরা দিল্লি রোড ধরলাম। কেউ আমাদের ফলো করছে বলে মনে হল না।

বিলুদা এত জোরে গাড়ি চালাল যে তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে আমরা চলে গেলুম বহু দূরে।

তারপর একটা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ভোরের কিছুটা বাকি আছে। বিলুদা যদিও আমাকে ঘুমোতে বারণ করেছিল, তবু আমি ঢুলে-দুলে পড়ছি মাঝে-মাঝে!

হঠাৎ এক সময় গাড়ির গতি আস্তে হতে হতে একেবারেই থেমে গেল।

বিলুদা বলে উঠল সর্বনাশ!

পেছন থেকে বিশ্বমামা জিগ্যেস করলেন, কী হল?

বিলুদা বললেন, ইস দারুণ ভুল করে ফেলেছি। পেট্রলের হিসেব করতে ভুল হয়ে গেছে। ভেবেছিলুম যা পেট্রল আছে তাতে ধানবাদ পর্যন্ত হয়ে যাবে। ওখান থেকে আবার পেট্রল ভরে নেব। এখন কী হবে? জঙ্গলের মধ্যে জেগে থাকতে হবে। সকাল না হলে তো কিছু করাও যাবে না।

আমি, ভয় পেয়ে গেলুম খুব। জঙ্গলের মধ্যে থেমে থাকবি যদি ডাকতে আসে? . বিশ্বমামা অবশ্য বললেন, নো প্রবলেম! দেখি কী করা যায়। তোরা নেমে পড়। একটু এগিয়ে দ্যাখ, কোনও গাড়িটাড়ি এসে পড়ে কিনা। ভয়েই আমরা গাড়ি থেকে নেমে গেলাম।

বিশ্বমামা বললেন, আর একটু দূরে যা। আমি কী করছি দেখবি না। ডাকলে আসবি।

মিনিট দশেক বাদেই বিশ্বমামা ডাকল, বিলু, নীলু, এদিকে আয়।

আমরা দৌড়ে এসে দেখি বিশ্বমামা কয়েকটি যন্ত্র রাস্তায় নামিয়ে কী সব করছিলেন, এখন সেগুলো আবার গাড়িতে তুললেন।

বিলুদাকে বলল, দ্যাখ তো, গাড়ি এবার স্টার্ট নেয় কিনা? বিলু বলল, তেল ছাড়া কী করে স্টার্ট নেবে? বিশ্বমামা ধমক দিয়ে বললেন, দ্যাখ না!

বিলুদা উঠে চাবি লাগিয়ে ঘোরাতে গাড়িটা জেগে উঠল। বিলুদা দারুণ অবাক হয়ে চেঁচিয়ে বলল, একী? একী? তেল এল কী করে?

গাড়ি স্টার্ট নিলই শুধু না, দেখা যাচ্ছে যে তেলের কাঁটা খানিকটা ওপরে উঠে গেছে। গাড়িতে তেল ভরা হয়েছে। অথচ এক ফোঁটা তেল ছিল না।

বিলুদা বলল, বিশ্বমামা, গাড়িতে তেল ভরা হয়ে গেল, এটা কি ম্যাজিক নাকি? তুমি তেল পেলে কোথায় বলতেই হবে।

বিশ্বমামা মুচকি হেসে বললেন, পাথর।

আচ্ছা কোনও মানে হয়? এর কোনও মাথামুন্ডু আছে? পেট্রল কোথায় পাওয়া গেল, তার উত্তর কি পাথর হতে পারে?

বিশ্বমামা চোখ বুঝে ফেলেছেন। আর কিছু বলবেন না।

তিনদিন পরে বোঝা গেল, পাথরটাই উত্তর। কানাডায় কেন অন্য বৈজ্ঞানিকরা বিশ্বমামাকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। কেন বিশ্বমামা দেশের উপকার করার জন্য ফিরে এলেন, কেন কিছু লোক ওঁকে খুন করতে চেয়েছিল, এমনকী গাড়িতে কী করে পেট্রল এল, এই সবকটা প্রশ্নের উত্তরই পাথর।

বিলুদা বিশ্বমামার ঘরের কিছু কাগজপত্র পড়ে নিজে বুঝেছে, আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে।

কানাডার অ্যাথাবাস্কা নদীর ধারে প্রচুর পাথর পড়ে থাকে। সেগুলিকে সাধারণ বেলে পাথরের মতো দেখতে হলেও একটা দারুণ বৈশিষ্ট্য আছে। ওগুলো আসলে হচ্ছে অয়েল স্যান্ড বা তৈল শিলা। পেট্রোলিয়ামই কোনওভাবে এইসব পাথরের মধ্যে ঢুকে থাকে। এখন এই পাথর থেকে আবার পেট্রোলিয়াম বের করতে পারলে পৃথিবীর তেলের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের দেশে পেট্রোলের খুব অভাব, আমাদের খুব উপকার হবে।

কী করে ওইসব পাথর থেকে সস্তায় পেট্রল বার করা যায় তা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে সারা পৃথিবীতে। সেই গবেষণায় বিশ্বমামা অনেকটা এগিয়ে গেছেন। আবার আরবের যেসব দেশে খুব সহজেই পেট্রল পাওয়া যায়, তারা ভাবছে, পাথর থেকে পেট্রল বার করতে পারলে তাদের পেট্রলের দাম কমে যাবে। তাই তারা চাইছে এই গবেষণা বন্ধ করতে। তাদের কেউ খুন করতে চেষ্টা করেছিল বিশ্বমামাকে।

বিশ্বমামা পাথর থেকে তেল বার করার উপায়টা বার করে ফেলেছেন কিন্তু সেটাকে আরও সহজ করা দরকার। তাই নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন হাজারিবাগে বসে। খুব গোপনে। তাকে এখন একটুও ডিসটার্ব করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *