তোমাকে পড়েছে মনে,
দশমের প্রলম্বিত সফেন উল্লাসে;
পাহাড়ের শিশিরের মাখামাখি সবুজ বিলাসে
মহুয়া সুবাস মাখা মাতাল বাতাসে।
সবুজের ঘননীল মোহিনী মায়ায় ,অনন্ত নি:শ্বাসে,
তোমাকে পড়েছে মনে, চিরায়ত মুগ্ধতায় ,অপার বিস্ময়ে!!
তোমাতে খুঁজেছি চির নবীন আশ্বাসে, জীবনের গান।
মায়া ভরা প্রকৃতির পাহাড়িয়া স্তনে মুখ গুঁজে
আশ্চর্য হয়েছি কতো গভীর আশায় বিপুল বিলাসে ।
সিংভূম পাহাড়ের ঘননীল নীলিমায়, সতৃষ্ণ নয়নে
নিয়েছি আশ্রয় কত পরম পুলকে নিবিড় মায়ায়
হয়েছি সুধীর, সেথাকার স্নিগ্ধ নীল নম্র মৌনতায়
কখনো বা তোমারই সে ব্যাকুল উদাসীনতায়,
আহত হয়েছি কতবার, ফিরে গেছি দূরে।
কখনো খেলার শেষে, কখনো বালিকা বেশে,
অজান্তে দিয়েছ কত জীবন উত্তাপ প্রেমের পরশে!
কখনো বা ঝিম ধরা বিষন্ন দুপুরে, একাকী সন্ধ্যায়,
আপন করেছ কত গভীর পরশে, প্রেমের বন্যায়
আপন পুলক ভরে, কুসুম বিলাসে,
অয়ি বসুন্ধরে! কবেকার প্রিয়তমা প্রেয়সী আমার।
তোমারি সে সুগভীর নীল নাভিমূলে
কতকাল, বলো ঠিক কতকাল ধরে,
নিয়েছি নিশ্বাস কত বিপুল পুলকে!
দেখেছি কেমন করে শ্যামলিমা ছেয়ে যায়
গোপন প্রান্তরে! আদিকাল হতে, যুগ যুগ ধরে!
আজি এই দশমের প্রভাত শিশিরে
প্রভাত রবির আলো ঝলমল করে।
একে একে উদ্ভাসিত হয় চরাচর
আকুল আবেগে আর স্নিগ্ধ বেদনায়!
মনে হয়,হাজারো স্তনের দুগ্ধ
কী বিপুল বরিষ্ঠ আশায়
ঝাঁপ দিয়ে পড়ে যেন বুকের উপরে,
নির্মল প্রকৃতির ঝরণা ধারায়,
ধরণীর নীবি বন্ধে বাঁধা আছে যে,
মধুর আবেশে তার চোখ জুড়ে আসে
পরম পুলকে আর অনন্ত বিশ্বাসে।
যে আশ্বাসে এ জীবন মধুময় হয়
তার এক নাম প্রেম, এই শুধু জানিল হৃদয়।।