বলাকার কথা
বলাকা কলকাতার মেয়ে।নব নালন্দা স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে,কল্যানি ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার নিয়ে বি-টেক করে ব্যাঙ্গালোরে আই বি এমে চাকরি করে।বছর খানেক হল বলাকা চাকরি করে।
পঁচিশ বছর বয়সে বলাকার জীবনে ঐ দুর্বিষহ রাত আসে।বলাকা অফিস থেকে বেড়িয়ে একটা রেস্টুরেন্টে খাবার কিনতে গিয়ে বেশ সময় লেগে যায়।রাত দশটা বেশ বৃষ্টি শুরু হল।আর হাঁটা পথে হস্টেল দশ মিনিট।বৃষ্টি থামার অপেক্ষা।দোকানের মালিক বলে আপনার ঘর কোথায়?ও সরল মনে বলে কোথায় থাকে।
বৃষ্টি থামাতে ও হস্টেলের দিকে এগিয়ে যায়।ও লক্ষ্য করে ওর পিছনে চারজন ছেলে,পরে বাঁক নিতে আরো চারজনের দল।ও ভয় পেয়ে ছুটতে শুরু করে। দেখে সামনে আরো চারজন।বলে ছুটছেন কেন?
হাত থেকে খাবারটা পড়ে যায়।বলাকা বলে পিছনে কটা ছেলে আসছিল তাই ভয়ে।সব ছেলেদের হাতে একটা করে দড়ি নিয়ে বলাকাকে ঘিরে ধরে।বলাকা জানে আজ শেষ।
সবাই একটা করে রাখি বলাকাকে দেয়।বলাকা হাত কাঁপতে কাঁপতে সবাইকে রাখি পরায়।ওরাই বলাকাকে হস্টেলে পৌঁছে দেয়।
ঐ অন্ধকারে বারোটা দাদা পেয়েছে।বলাকার আর রাতে ফিরতে ভয় হয় না।
সত্যি বলতে এখনো নব্বই শতাংশ ভাল লোক আছে,বাকি দশ শতাংশ ধর্ষক।এদের জন্য পুরুষ সমাজ কলঙ্কিত হচ্ছে।
এক বলাকা রক্ষা পেল।ইস কবে সেইদিন আসবে কোন বলাকা বিপদের সম্মুখীন হবে না।