বন্ধুত্ব
বারটোলোমা প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ অঞ্চল। সেখানে সিন-তাও-পিনা নামে এক ধীবর মা’কে নিয়ে বাস করে। তার পোষা টুসি নামে একটা কচ্ছপও আছে। এই অঞ্চলে খুব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। সমুদ্রে মাছ ধরে এখানকার মানুষের জীবনযাপন।
একবার প্রচন্ড দুর্যোগে দ্বীপ তোলপাড়। অনেকের নৌকা ভেঙ্গে জলে ভাসছে। সিন -তাও-পিনা তার নৌকা খুঁজতে গিয়ে দেখে নৌকা চরের খাঁজে আটকে। নৌকা টেনে আনতেই নজরে পড়লো একটি পেঙ্গুইন শাবক আধমরা অবস্থায় চরে পড়ে আছে। সিন- তাও- পিনা তাকে ঘরে নিয়ে আসে। মা মুরুডিহা সেবা যত্ন করে শাবকটিকে সুস্থ করে তুলে।
সিন – তাও- পিনা ঠিক করে পেঙ্গুইন শাবকটি একটু বড় হলে তাকে আগের জায়গায় ছেড়ে দিয়ে আসবে। পেঙ্গুইন শিশুর তাদের বাড়ি থাকতে থাকতে কচ্ছপের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। মুরুডিহা পেঙ্গুইনটিকে পেলু নামে ডাকে। পেলু ও টুসি দুজনেই খেলা করে, একসঙ্গে থাকে।
প্রায় ছয়মাস পর শাবকটি বড় হলে, সিন -তাও-পিনা পেঙ্গুইনটাকে ছেড়ে আসে যেখান থেকে তাকে পেয়েছিল। এদিকে টুসির পেলু চলে যাওয়ায় খাওয়া বন্ধ করে মনমরা ভাব।মুরুডিহা খাওয়াবার চেষ্টা করে, কিন্তু টুসি খায় না। দুদিন পর পেলু এসে উপস্থিত। পেলুকে দেখেই টুসি খুশি। দুজনের মধ্যে খুনসুটি, দৌড়াদৌড়ি খেলা শুরু। খাওয়ার দিলে দুজনেই খাচ্ছে। সিন-তাও-পিনা ঘরে এসে পেলুকে দেখে খুশিতে জড়িয়ে ধরে আদর করে। দুদিন পর আবার পেলুকে তাদের প্রজাতির কাছে ছেড়ে আসা হয়। আবার টুসি খাওয়া বন্ধ করে, পেলুও চলে আসে পরদিন।
মুরুডিহা বুঝলো দুজনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয়েছে। এদের আলাদা করলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। ছেলেকে বললো থাক দুজনে একসঙ্গে। পেলুকে আর দিয়ে আসার দরকার নেই। সিন-তাও-পিনাও আনন্দে বলে, আমারও মায়া পড়ে গেছে, পেলুকে ছেড়ে এসে আমিও খুব কষ্ট পাই। টুসি- পেলুর বন্ধুত্বের জয় হলো। তারা দুজন এখন একসঙ্গে থাকে।