মোড়ক পাল্টে ভুল ঠিকানা লিখে দিয়েছিলো অব্যয়।
ছোট্ট ডিঙি আমায় নিয়ে ঘুরেছে হাসপাতালে হাসপাতালে,
পায়নি কোনো আশ্রয়।
কঠিন শাসনে কড়া নিয়মে
আমাকে নিয়ে ডিঙি ছুঁটেছে ঘাটে।
পড়েছে ঘোর দুর্বিপাকে।
তবুও ডোবেনি।
পেয়ে গেছে তীর।
এ মাটির প্ৰিয় বাসভূমির।
অক্ষয় বলেছিলো ঘুরে এসো,
ঠান্ডা মেশিন লাগানো ঘরে।
বিয়ারের মগে আয়েশে চুমুক দিতে দিতে কেমন করে
কমিউনিসিম এর গল্প বলে।
অজয় বলেছে দেখে যাও,
ওই হতচ্ছারাদের।
যারা কেড়ে খায় পিঁপড়ের মুখের ডিম।
তারা কি দেখেছে কখনো
স্বপ্ন রঙিন?
মাদুর পেতে ছাদের নির্জনে বসে ছিলো বনানীরা,
যারা শুধু ভালোবাসা নিতে জানে।
শোনেনি অন্য কথা।
দামী শাড়ি আর পারফিউমের গন্ধ শুধুই চেনে।
তারা কি কখনও দেখেছে এমন রাত?
যে রাত কখনও সরে না জীবন থেকে।
ভুল ঠিকানা লিখে দিয়েছিলো অক্ষয়।
দুরাকাশ থেকে ফুটে এসেছিলো ভুল নক্ষত্র রাশি,
ভুল কিরণমালা।
অনেক দেখার বাকি ছিলো
তাই কি আমায় দেখালে এমন
বনানীরর ছলাকলা?
ওখানেও দিনান্তের প্রলম্বিত ছায়া
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
এখন আমার তো নেই ফিরে যাওয়ার কোনো ভয়।
চৈতি হাওয়া এসে বলে গেলো,
আইসক্রিম টা খেয়ে যেও__
আউটট্রাম ঘাটে এসে।
শেষ ঠোঁট রেখে যেতে চাই,
আমার জীবনের নতুন ফুটপাতে।
ফিরে এলাম স্বর্গের আগের স্টেশন থেকে।