বন্দী জীবন !এক চিলতে আসমানে তবুও
পাই আলোর বন্যা—আমার যাপন |
ঐ আনন্দে ফানুস হয়ে উড়তে ঘুরতে
কত যে আছে খুশ্ !
দুখ্যু-টুখ্যু তুড়িতে তুড়িতে সরিয়ে দিতে
অপেক্ষায় আরেক মানুষ |
ধন্য ধন্য সড়কে ছড়ায় এমন ভূমিকা |
জগদ্দল পাথরটাকে ঠেলে ঠেলে অনেক দূরে
সাহস বুঝি দাঁড়ে পা ঝোলায়,
বুকের মধ্যে তখন চেঁচায় অচিন পাখী,
‘বাঁচব, বাঁচব, চাই যে বাঁচতে,’
ফুলঝুরিটা জ্বলে অন্তরে,সুখী-সুখী হাওয়ার
ফিসফিসানি সময়কে ভারী দোলায় |
দুলুনির সোহাগে ঢুলুঢুলু নজরে কার নড়াচড়া
হৃদয়ে তুলছে ঢেউ ?
আবার কি কারাগারে আমসি-আমসি মুখে কয়েদীর
পুর্নবাসনের স্মৃতি ঘুরেফিরে জ্বালায় ?
বন্দীর বাঁচন |এক টুকরো গগনে জানি আছে
ভরা পূর্ন আলোক-আমার অয়ন |
ওখানে বাঁধনহারা বর্নছটায় দিনগুলো লালিত্যে
মাখো-মাখো অভিজাতে হয় দেমাকি,
তৃপ্ত অনুভূতি ফল্গুর মতন কুলুকুলু কুলুকুলু
ধমনীর স্রোতে মিশছে নাকি !
আঃ! আঃ! আঃ! বন্দীত্বের দফারফা ফন্দির চতুরতায়
উদ্-যাপনে মাতি হলায়-গলায় |