জীবনরূপী জলের মহাতোড়ে আচমকা বানভাসি
জনপদ মাঠ-ময়দান!
কেন কেন এত ক্ষুব্ধ কাছাখোলা প্রকৃতি?
মানুষে-মানুষে, পশুতে-পশুতে, মানুষে-পশুতে
নেই ভেদাভেদ যেন সাম্যের প্রগতি!
অসহায়তা তখন পরম বন্ধু প্রতিপদে প্রতিক্ষণে?
রে-রে-রে-রে জলদস্যুরা এল বুঝি তেড়ে,
ওদের নিঃশ্বাস ঘন পড়ে দুর্গতদের ঘাড়ে|
জীবন-হরণে জীবনের ভূমিকায় পাশবিকতা
নজিরবিহীন বিপদ-দাতা|
কার অভিশাপে তবে ধুয়ে যায় প্রাণের ভালবাসা?
মানুষের যত ধনসম্পদ নিসর্গের ঘৃণ্য আচারে
আলুলায়িত ধ্বংসে উঠবেই জেগে,
অশ্রুর সাথে দহরম-মহরমের তখুনি তোড়জোড়!
হা-রে-রে-রে জলদস্যুরা এসেছে খুব তেড়ে,
ওদের রক্তচোখে সব আত্মার ভিত নড়ে|
অথৈ জলের তাড়ন আর তা থৈ থৈ নাচনে
ভয়ংকর ভোজ-আসর মহাপ্লাবনে !
ভেজা হৃদয়ের অপেক্ষায় এবার নাকি অত্যয়-উৎসব!
নয়ছয় ভিটেমাটি নানা দৌলতের দুরবস্থায়
আবার কতটা গলদঘর্ম মানুষজনের ঘরে?
ভয়াবহ ভরাডুবির তসবির দোলে রে ভাই দোলে!
রে-রে-রে-রে জলদস্যুরা এমন করেই বাড়ে,
বিপদসীমা ছাড়িয়েই ওরা প্রাণগুলোকে কাড়ে|