আমার বুকের থেকে সুকোমল একটি হরিণ
খুশির মতন লাফ দিয়ে রাজেন্দ্রানী পূর্ণিমায়
ভিজে যায়, মিশে যায়; অকস্মাৎ রক্তে ঢেউ তুলে
আমার চোখের থেকে কজন মুনিয়া বেশ পাখা
নেড়ে নেড়ে নিমেষে অদৃশ্য হয় গাছের ভেতর।
এবং আমার এই অসহায় কম্পমান করতল থেকে
গোলাপের পাণ্ডুলিপি, শেফালির বাণী দুঃখ হয়ে
ধুলায় মিলায়-দ্যাখো এখন কী নিঃস্ব আমি, হায়!
একদা মেঘের কত ছিল পকেটে আমার
ছিল বনচারী প্রতিধ্বনি, স্বপ্নের সুনীল বীজ।
এখন পকেট শূন্য; শুধু স্মৃতি লেগে আছে কিছু,-
সিগারেট শেষ হলে যেমন কিঞ্চিৎ নিকোটিন
আঙুলে জড়িয়ে থাকে। কী দারুণ নিঃস্বতায় ঘুরি
এদিক ওদিক রাত্রিদিন নিরুপায় এই আমি
ব্যর্থতার সমানবয়সী আর প্রতীক্ষায় থাকি
আবার কখন আসে ফিরে হৃত সম্পদ আমার।