জীবনানন্দীয় পরিবেশে অপরাহ্নে পাশাপাশি,
মনে পড়ে, ছায়াচ্ছন্নতায় আমরা ছিলাম বসে
মাঝে-মধ্যে গাছ থেকে শুক্নো পাতা পড়ছিলো খসে;
উচ্ছ্বসিত বিকেলের রঙ এবং তোমার হাসি
একাকার, প্রকৃতির কাছে আজো কিসের প্রত্যাশী
আমরা ভাবছিলাম। দেখি, হংস-হংসী ঠোঁট ঘষে
পরস্পর উড়ে যায় বিল ছেড়ে; মগজের কোষে
কোষে কী মদির শিখা জ্বলে, বাজে স্বেচ্ছাচারী বাঁশি।
আমিতো পারিনি হতে বনহংস, তুমিও পারোনি
বনহংসী হতে সে বিলের ধারে। পাঁশুটে ভব্যতা
আঁকড়ে ছিলাম ব’সে চুপচাপ, যদিও শিরায়
উঠেছিলো জেগে শত পালতোলা মাতাল তরণী।
বুঝতে পারিনি, হায় তোমার সত্তায় ব্যাকুলতা,
কী-যে ছিলো তোমার চোখের দুটি অসিত হীরায়।