ধ্যানস্থ বুদ্ধের মতো তুমি স্থীর অবিচল,দাঁড়িয়ে আছো অনাদিকাল ধরে।
পাহাড়ের বুকের নীরব কান্না তোমরা কেউ শুনেছো কি?
দেখেছো কেবল পাহাড়ের কোলে রক্তিম ডালিম ফুলের মতো সূর্য ওঠা।
কিংবা হলুদ ডোবানো গোধূলি বেলায় কমলালেবুর কোয়ার মতো ঝুপ করে নেমে আসা সাঁঝ বেলা।
আজও কেউ টের পেল না মৌন মহান পাহাড়ের বোবা কান্নার ভাষা।
পাহাড়ের বুক ভারি হলে, বসত গড়ে বনস্পতি, জীব জন্তুু,ঝিরিঝিরি ঝর্ণা আর চঞ্চলা নদী।
তারা কথা বলে কলোরব করে, তবুও জাগ্রত হয় না ধ্যানমগ্ন ঋষি।
একদিন দলছুট মেঘ এলো ভেসে, পাহাড়ের গায়ে।
কুয়াশার চাদরে জড়িয়ে,
মেঘ বললো, তুমি কি আমার বন্ধু হবে?
নিঃসঙ্গ একাকী পাহাড়ের বুক আরও স্তব্ধ হলো!
দূরে ডানা মেলে উড়ে মেঘ বললো তোমায় ভালোবাসি…..
সেই ধ্বনি আকাশে বাতাসে প্রতিধ্বনি হয়ে পাহাড়ের শরীর ছুঁয়ে ভেসে এলো,
তোমায় ভালোবাসি…
সেদিন মেঘ জেনেছিল
পাহাড়ের ভালোবাসার কোন জন্ম মৃত্যু হয় না।
একইভাবে দৃঢ় অবিচল!
সেই থেকে পাহাড়ের কোলে মেঘের বসত বাড়ি।
মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে ভাসায়
কখনো সরে গিয়ে সোনালী রোদের আলো পাহাড়ের গায়ে ছড়ায়।