রোদে গম খেতে এসেছিল একবার, ‘এই হুস’
বলে যেই ভয় দেখিয়েছ পায়রাটি বন দিয়ে
সরোবর ছেড়ে উড়ে যেতে যেতে যেখানে থামল
সেটি আমাদের গতজন্ম, কাশবন, নীল আলো
পাখির অস্ফুট ডাক বলে দিচ্ছে জায়গাটি চুপ
করে ছিল এতদিন, সে পায়রা উড়ে যেতে যেতে
দেখে তুমি সেই তরুণীটি, চুল বাঁধা ফেলে রেখে
এক বিশেষ আবেগে অনন্য দু’হাত দিয়ে হুস
বলে ভয় দেখিয়েছ, সে কি মেয়ে প্রথম দেখল?
যেন, মহিমা না বুঝে উড়ে গেছ, এরকম দিনে
যেখানে মানুষ বলে কেউ নেই, তোমার মতোই
খাবারের জন্য বেরিয়েছে আর একটি পায়রা
খুবই আশ্চর্য হয়ে গাছ থেকে একটু ওপরে
শুকনো ডালের আশ্রয়ে গিয়ে বসে আছে, এরকম
দিনে সেখানেও অল্প রোদ গিয়ে পড়ল তখন।
এই পুরো দৃশ্যটিকে— লাঠির ওপরে রোদ, রোদে আস্তে আস্তে
ডানা মেলে দিচ্ছে পায়রাটি, নীচে যার লক্ষ্য থেকে থেকে, আর
যূথী তুমি নাকি, শোনা যায়, কাশের ভেতর একপাশে শুয়ে
আড়মোড়া ভাঙছিলে— এই পুরো দৃশ্যটিকে আমি একেবারে
একটুও না পালটে তুলে এনে খুব যত্ন নিয়ে তোমাকে বোঝাই
দেখা দিয়েছিলাম সেদিন এইভাবে, আজ যখন তোমাকে
ছাড়া দৃশ্য নেই, করে নিতেও পারি না, যেই তোমার টেবিলে
এনে রাখি পুরো দৃশ্যটিকে তুমি ঝুঁকে খুব যত্ন নিয়ে লক্ষ
করো আমাদের গতজন্ম! আর তুমি ঝুঁকে পড়বার সাথে সাথে
আমাদের গতজন্ম থেকে, সেই অনিমেষ ডাল, রোদ ছেড়ে
অস্ফুট পাখির ডাক সব ছেড়ে দিয়ে পায়রাটি উড়ে যায়।
শব্দ শোনো, মনে কি হয় না সব চুপ করে ছিল এতদিন?