এই যে আকাশে আজ খুব মেঘ করেছে।
মেঘলা মনেতে মেঘ জমেছে,
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে গাছের পাতায়,
ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ছে আঁখির ধারায়।
অনেক কথার মাঝে,না বলা কথা গুলো বুকে
ভিতরে দলা পাকাচ্ছে।
আমার এত্তো কেন ভালো লাগছে
কেমন করে বোঝাই বলো তোমায়!
আমায় শক্তি বাবুর কবিতা ডাকছে।
আমার লেখা না আসলেই, বুকের ভিতরে পাথর জমে।
লাল, নীল, সবুজ, পাথর গুলি ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি তোলে! আমায় মুক্তি বলে ডাকে!
বল তবে মুক্তি আমার কোথায়?
মুক্তি আমার আকাশে,
মুক্তি আমার ঘাসে ঘাসে, অজস্র ধুলি কণায়!
আমার মুক্তি শুধুই ভালোবাসায়!
আমার মুক্তি সুখে-দুঃখে, কষ্ট-যাতনায়!
আমায় দুঃখ দাও, আরও দুঃখ দাও, আমি যে দুঃখ বিলাসী, দুঃখ পেতে ভালোবাসি!
দুঃখ আসলেই আমার কবিতা আসে কাছে!
গাছ ভর্তি কবিতা নিয়ে!
আমি যে কবিতা ভালোবাসি।
শক্তি বাবু মৃদু হাসলেন, হাতে কবিতা গুচ্ছ নিয়ে,
আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।
বললেন,কবিতাতেই তোমার মুক্তি।
তাই তোমার নাম দিলাম মুক্তি।
মানুষ কোন দিনই টের পেল না, অথচ নিয়মমাফিক রাতের তৃতীয় প্রহরে নতুন সূর্যের জন্ম নিলে, সূচনা হয় নতুন দিনের।
ভোরের আলো আমার চোখ মুখে ছুঁয়ে দিতেই,
রোজকার নামচায় দিন শুরু হয়, আর কবিতা ভর্তি গাছটি, দুচোখে আলো মেখে স্বপ্নের রঙে আলোস্নান করে!