তোমায় লিখবো বলে রাতের অন্ধকারে শব্দ খুঁজি!
কতোগুলো ভালো শব্দ আর কোমল স্বর গা নি ধা জুড়ে জুড়েই যেমন সুর হয়, গান হয়, শব্দ জুড়ে সৃষ্টি হয় কবিতা, আর ছন্দ জুড়েই রয়ে যায় তোমার নীল পাতায় পদ্যকথার রূপকথারা!
ঠিক তেমনই দিনভর তোমার শব্দ শুনি ।
রাতভর স্বপ্নে শুনি চরণের ধ্বনি।
শব্দ হলেই ভাবি তুমি এলে আমার শ্বয়ন দ্বারে। সদর দরজা খুলতেই নীল নীলিমায় দু চোখ রাখি।
দু হাতের আঁজলায় দেখি তোমারই পদ্মনীল জলছবি!
বলেছিলে আকন্ঠ গরল পান করতে দাও। দুঃখ কে চায় বলো! সকলেই যে চায় সুখ!
আবারও শব্দ হলে মনে হয় তুমি চলে গেলে।
সরে সরে যায় ছায়া।
যখনই তোমায় জড়াতে চাই বলো সবই যে মায়া।
পথের বাঁকে কী আছে, খুঁজতে গেলে সরে সরে যায় নিরুত্তর সেই ছায়ার মায়া!
আমি তখন বয়ে চলা একলা এক নির্জন নদী।
বুকে বুদ বুদ শব্দ ভেসে আসে, জলরাশি অভিমানে ফুলে ওঠে দোলা খায় ।
বুদ্বুদে ভেসে ওঠে তোমারই নীল পদ্মমুখ!
আসলে ওটা কিছু নয়, ওটা আমার কায়া জুড়ে নীল গভীর অসুখ!