এখন আর কান্নার দাম দেয়না কেউ তেমন করে
ছড়িয়ে থাকা কাচের ভেতর প্রায়ই দেখি রক্তের প্রজাপতি;
আহত ডানা থেকে ঠিকরে আসা চোখ
আর মৃত্যুর সম্মোহনী দৃষ্টি
আতঙ্কের নাগপাশে বন্দীজীবন আশঙ্কায় মুখ লুকোয়-
মৃত অনুভূতির ফ্যাকাসে ক্ষতচিহ্নের আড়ালে….
কদলিবৃক্ষের পিছল দেহের মতো শরীরে লেপটে আছে
বিষণ্ণতার ধূসর অবকাশ,যেখানে-
জীবনের ভাঙাগড়ায় ভিড় জমায় সহস্র উল্কির দাগ।
সময় গড়িয়ে চলে শ্যাওলার স্রোতে,দোটানায়…..
এখনো মুক্ত হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় প্রত্যাশার ফানুস
রক্তের ঋণ শোধ দিতে গিয়ে লেগে যায় জীবনভর…
তবুও বেঁচে থাকা শুষ্ক আবেগে,একফালি দীনতায়
প্রান্তিক চাহিদা মেটায় আজন্মলালিত ইচ্ছেরা
প্রেমের বিবর্ণ পুঁজি নিয়ে হতশ্রী সম্পর্ক এঁকে চলে
জীবনের নির্জন প্রলাপ……
দাউদাউ আগুনের শিখায় জ্বলে ওঠে কবির কণ্ঠ
অসুস্থ জীবনের নাভিমূলে অবলীলায় বিলি কাটে-
একবুক শূন্যতার কুৎসিত পরিহাস….
এভাবেই কেটে যায় অখণ্ড দিনলিপি,নীরব অভিমানে।
আর–
তপ্ত চোরাবালির রিক্ত-গহ্বরে অবজ্ঞায় বেঁচে থাকে কলঙ্কের মরচেধরা হতাশাগ্রস্ত বিবেক….