একটি কালো সরষের দানা চাপে চাপে
ফেটে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে একটি নক্ষত্র হয়ে ফুটে ওঠে
দেখি: আমার কুকুর বাঘা
দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায় মল্লিক পাড়ায়
বিভাসে বিভাসে
ওই তো আমাদের বাড়ি, একটি ডালিয়া টব
ছাদে টুপ করে নেমে, মনে হয়, একখানা ফ্রক চুরি করে
উঠে আসি
লিলি কাঁদুক, কাঁদাতে চেয়েছি, পারিনি
আজ শোধ নিই,
পুরো বাড়িটাকে মানুষের মাথার মতন মনে হয়, আর
বাঘা পৌঁছে গিয়ে কেবল ডাকছে।
নিজের মাথার টুপি শূন্যে ছুড়ে দিই
গিয়ে বেঁধে থাক শালবনে
যে বনে গিয়েছি আমি একবার, ছিল একটি তরুণী
একাকার, চকিত বিড়াল।
দেখা যায়: একটি বাগান
তুলো যেন তুষারের হয়ে উড়ে যায়
অল্প আলো
আমার বন্ধুর বউ যেখানে বিকেল ভেবে বেড়াতে এসেছে
অনুপম ভেড়ার শাবক তার আগে আগে চলে
তাকে ধরে, তার পশম জড়িয়ে
আদর করতে যাবে যেই— শাবকটি
শূন্যে মিশে যেতে যেতে আমি প্রতিশোধ নিই:
‘চম্পা, টুকি!’
বাড়ি ফিরে এসে ঘর বন্ধ করে দ্রুত শাড়ি ছেড়ে নেয়
তার বাইরের
চুড়ির বাজনা ছাড়া অন্য সংকেত নেই
জড়ো, পরিত্যক্ত, ছাড়া শাড়ি থেকে বলে উঠি:
‘চম্পা, টুকি!’
নিরন্তর টেলিফোন থেকে মুক্তি তুমি কখনও পাবে না
টবে ধরে রাখা ডাল, তাতে কুঁড়ি
সে ফুটছে, সমস্ত কুসুম নিয়ে ফেটে
চারদিক সাদা করে ফুটে ওঠে, তার ভেতরের থেকে
উঁকি দেয় চুল, অল্প মাথা
বলে উঠি:
‘চম্পা, টুকি!’
এরপর গাছে গাছে জ্বেলে দিই বাল্ব, ছড়ানো প্রদীপ
আর মৌমাছি পাঠাচ্ছি যেন আমরাই
একদল কাক ঝুপ করে ব্যাঙ ধরে উঠে আসে ডালে
ঠুকরে ঠুকরে তাকে মারে আর মোহন আহার করে
আর আমরাই হইচই করে, টিন পিটে ছত্রখান করি কাক
সময় এমন
যেখানে বিকেল ভেবে আমার বন্ধুর বউ বেড়াতে এসেছে
আর আমি
আমার জগৎ থেকে ঢিল ছুড়ি।