নারী যখন নারীর অত্যাচারী
ইতি, লুনা দুই বোন। বিয়ে হয় তাদের একই বাড়ির দুই ছেলের সাথে। সম্পর্কে তারা দুই জা। প্রথম প্রথম সুসম্পর্ক থাকলেও দিন যত যেতে থাকে তাদের মধ্যে ঈর্ষা দ্বন্দ শুরু হয়। ইতির তুলনায় লুনার স্বামীর আয় বেশি, তাই লুনার অহংকার।
এদিকে ইতির মেয়ে মিঠি লুনার ছেলের তুলনায় পড়াশুনায় ভালো। পরীক্ষায় প্রথম হয়। লুনার ছেলে সাধারণ মানের। লুনা তাই হিংসাতে যখন তখন ছুঁতো ধরে মিঠিকে বকে, ছেলের সঙ্গে মিশতে দেয়না।
ইতি শান্ত প্রকৃতির। সারাদিন সংসার নিয়ে ব্যস্ত।
বোনকে বলে, ” তুই অমন করিস কেন? সর্বদা মিঠিকে বকাঝকা করিস, ও মনে কষ্ট পায়!”
লুনা – ” করবো না! ডেপো মেয়ে, আমার ছেলেটাকে নষ্ট করছে। নিজের মেয়ের দোষ দেখবি নাতো!”
একদিন খেলতে গিয়ে লুনার ছেলে টিটু পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পায়। মিঠি ভাইকে তুলে ঘরে আনে।
টিটুর কান্না শুনে লুনা এসে “তুই ঠেলে ফেলেছিস” বলে মিঠিকে মারতে থাকে। টিটু যত বলে পিছলে পড়েছি, লুনা শোনেনা।
চেঁচামেচি শুনে সবাই আসে। শ্বশুর বলেন, ” বৌমা তোমরা তো দু’বোন! তবু এতো অশান্তি কেন? পারোনা দুজনে মানিয়ে চলতে? এইটুকু মেয়েকে মারছো!আগে ছেলের ব্যথার জায়গায় ওষুধ লাগাও।”
লুনা বলে, ” আপনাকে একটু খেতে দেয় বলে সবসময় ওর হয়ে কথা বলবেন! আপনি এখন যান।”
দুজনের স্বামীর মধ্যেও বিতর্ক লাগে।
একই বাড়িতে থাকলেও হাঁড়ি ছিল আলাদা। এবার মুখ দেখাদেখি বন্ধ করতে দেওয়াল তোলার ব্যাবস্থা হলো।