নারী তোমার ভীষণ গরজ ;হাসতে তোমার মানা !
দলব তোমায় পদতলে তোমার নেইকো আস্তানা ।
বাক্য বাণে হুল ফুটিয়ে রক্ত ঝড়বে সারা বেলা !
দগ্ধ নারী সকাল সাঁঝে রুদ্ধ অশ্রুমেলা ।
নারী তুমি সহ্য করো ,আরো! আরো! আরো!
জন্মদাত্রী ,সর্বংস্বহা,তবু আপন নয়কো কারো !
বাপের ঘরের রাণী থেকে অলক্ষ্মী শ্বশুর ঘরে !
তাইতো তুমি মাণ পেলে না এসে পরের ঘরে ।
নারী মানেই মানিয়ে নেওয়া , মূক-বধিরের খেলা !
মা বলত ছোট্ট থেকে, খুনসুটি করিসনেকো মেলা ।
তবুও শুনি শিক্ষ্যে দিক্ষ্যে দেয়নি বাবা -মা ,
আবার নতুন হাতে খড়ি , লক্ষী প্রতিমা ।
বড্ড ভারী পায়ের বেড়ি হাঁসফাঁসিয়ে মরি,
প্রাণবায়ু আর আর্সেনিকের হচ্ছে হামাগুড়ি।
তবুও নারী বাঁচতে হবে মাতঙ্গিনী রূপে,
প্রতিবাদের অস্ত্র তুলে উচ্চ শিরে স্বদর্পে।
নারী তেমায় ভাঙতে হবে বজ্রআঁটে বাঁধা শেকল,
নারী তোমার সন্ধ্যা প্রদীপ উঠুক হয়ে বারুদ মশাল।
নারী আজ পণ করেছি বজ্র আঁটের বাঁধন ঘিরে,
মুক্ত গগণ ওড়াক নিশান সকল ব্যথার বক্ষ চিরে ।