অকালকুষ্মাণ্ড এক পুরুষের মনোলোক ভরিয়ে তোলার
জন্য সে দুপুরে বসে বসে ধাঁধা তৈরি করে, রোজ তার কটি
মোটা হয়, পেটে আঁকে মিথুনের ছবি, আর দু’খানা জোকার
দুই বুকে নিয়ে সারা মুখ চুন করে গিয়ে বসে চন্দ্রালোকে
যেন লোকান্তর থেকে ফিরে গোমূর্খটি স্ত্রীকে ডাকে: সোনামোনা
এসো, হামি দিই নাকে; রাতে তাকে চুমু খায় আর ওয়াক তোলে।
দৃষ্টি ভরে দেখে তবু গামলার মতো দুটি কুৎসিত স্তন।
আমি ধনুকের মতো বেঁকে মরে যাই যেন, ভাবি ধুতুরার
বাটা বিষ খাব; যদি ফের জন্ম নিই, যেন এবার ভাস্বতী
হয়ে আসি—তুঁতে রং তনু, তখন নিলাম হবে আমি কার?
সাতকুলে কেউ নেই; অঙ্কিত জোকার বুকে আসন্ন শোকের
কথা ভুলে, উঠে খেলা শুরু করে—আগুনের বল, টিন, সোনা
কামড়ে কামড়ে খেয়ে ফেলে, হাসে, পড়ে যায় আর কান মলে।
জোকারের চোখ মুছে দেয় এক কর্মচারী—তার অধস্তন।