ভালো নেই মন, অকারণ….
বাতাসে সুর ভাসা বারণ,
আলো আসেনা যে ঘরে,
তবুও মনে পড়ে,
মুছে যায় অনেক আবরণ।
পাহাড় দিয়েছি ঢের পাহাড়ায়,
শিকল দিয়েছি সব দরজায়…
তবু কি ভাবে ভেতর ভেতর-
নিখুঁত সবুজ চারা জন্মায়?
কত করি অবহেলা,
শেষ করি সব খেলা…
আরো কিছু, কিছু আরো
বাকি থেকে যায়।
মনে মনে গাঁথি কথা,
চোখে গাঁথা মুক্তো
দুটি মালা এক হয়ে,-
আমি নিরুপায়।
ধুসরে ধুসর সাজায়,
রঙ ধুয়ে রাত আঁকি-
বৃথা চাঁদ উঁকি দেয় জানালায়।।
মনের খুঁড়েছি কবর…
মন ভালো নাই।
হঠাৎ করে…একটি মানুষ এসে
চুপ চাপ ধরলো কলম…
নীল কালি চুল এলিয়ে বসলো… আকাশ হল,
সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন রা টুং টাং আওয়াজে তারা হল ,
আঙুল জুড়ে শব্দে রা তাঁর ঠোঁটে হাসির জন্ম দিলো।
হাসি প্রসব করলো কবিতা….
ডেফোডিল ফুটল পৃথিবীর উঠোন জুড়ে,
এতো সুগন্ধ…
এত্ত মাতাল করা গন্ধে
আমি আর কবরে থাকতে পারছি না,
আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে….
উফ কি ভীষণ যন্ত্রণা..
আমি চিৎকার করে বললাম.. আমি আলো চাই,
বাতাসে সুর চাই,
সবুজ চাই,
আমি পাহাড়ের পাহারা ভেঙে ফেলব দৃষ্টি দিয়ে,
এক ইশারায় জানলা দরজার শিকল ভেঙে নদী বইবে,
চাঁদের জন্য বিছিয়ে রাখব শীতল পাটি।
আমায় আকাশ দাও…
মাটি দাও , পৃথিবী দাও।
মানুষ টি কবর খুঁড়ল
কলম দিয়ে,
কি ভীষণ ধারালো কলম,
আমার সব মোর্চা ধরা গা মন
আবার মোর্চা হীন হল,
দু হাতের উপর আলতো করে সে আমায় তুলে আনল,
আমি প্রণাম করে বললাম…
কবি তোমাকে প্রণাম
তুমি প্রাণ দিলে আমায়,
মৃত দেহে প্রাণ কেবল কবি রা ঢাল তে পারে।
অবাক করা উত্তর এলো তার মুখ থেকে…
আশীর্বাদ করে সে বলল…
ভালো থেকো নতুন পৃথিবী,
যা কিছু হলুদ খোলস তুমি ছেড়ে এসেছ কালের গর্ভে,
এবার সুখী হও,
সুখী হও সন্তান দের নিয়ে।
আমি দু হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে
ধরলাম ডেফডিল, চাঁদ, আলো,
সুর, কলম…
প্রণাম করলাম কবি কে,
সে মিলিয়ে গেলো আমার ভেতরে
ছড়িয়ে গেলো আমার চেতনায়।।