যাবে…..
কোথায়?
চাঁদের পাহাড়
অথবা নীল ঝরনার দেশে
নীলাভ মসলিন সমুদ্রের
পর্যটকের বালুতটে….
কুড়িয়ে নেবো রঙ্গীন নুড়িগুলো
আঁচলের ফুলদানিতে
বেশ নূতন করে সাজাবো…
সহসা চমক ভাঙ্গে
সমুদ্রের ভয়াল গর্জনে
মৃদঙ্গের বোল যেন
ধীরে লয় থেকে যামে
ধমনী ছুঁয়ে উচ্ছ্বাস জাগে
জল নুপুরের নাচের তালে
হারানো সময়কে কুড়িয়ে নেবো
আকাশঘাটে ভুবসাঁতারে
স্তব্ধ বাতাসে আমার শব্দগুচ্ছ ঝরবে
মালঞ্চ ফুলের বাগানে
জাফরি কাটা সিঁড়ি ভেঙ্গে
সচেতনভাবে সবুজ সীমানা ছোঁবো
এলোমেলো ঘুরেঘুরে
ক্যাফেটরিয়াতে ক্লান্তি ছুঁড়ে দেবো
উষ্ণ ঠোঁটের চুমুকে
সোনালী পেয়ালার টলটলে জলে
জীবনানন্দের বনলতাকে
ভাষাহীন ভাষায় মনে মনে আঁকবো…
অন্ধকারে ঝিঁঝিঁদের আলোর নাচে
তোমার আঙ্গুলের ভাঁজে
যা আছে ব্যক্তিগত খুঁজে নিও
পঙতির জ্যোৎস্না রোদে
গালীব শুনে দেখো
সঙ্গোপনে তোমার-আমার
ধূপছায়া মাখা গোধূলিবেলা
আলতো করে ছুঁয়ে দেখো
বুনো ফুলের নাকছাবিতে
একটা হীরের পাথর বসিয়ে দিও
চেরাপুঞ্জির বাষ্পেভেজা মেঘগুলো
তপ্ত বৈশাখে ছুঁড়ে দিও
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চাদরে
পুরনো চাঁদকে ঢেকে রেখো
ফটোগ্ৰাফার নও তুমি
সে আমি জানি
কীর্তিনাশা ভালোবাসার একটা ছবি নিও