যতই আকর্ষণীয় পোশাকে তোমরা নিজেদের মুড়িয়ে রাখো না কেন!
আমি জানি তোমরাই সেই ধর্ষক।
তোমরা মিশে থাকো ট্রেনে বাসে আমজনতার ভিড়ে।
তোমরা মিশে থাকো দুর্দশাগ্রস্ত নারীদের রক্ষকের ভিড়ে।
তোমরা মিশে থাকো গরীবের হেঁসেলের মৎস্যলোভী বিড়ালের দলে।
যতই ধূসর মুখোশে হতাশার তুলিরং বোলাও না কেন!
আমি দেখে ফেলেছি তোমাদের মুখোশের পিছনের রক্তলোলুপ চক্ষু।
তোমরা আবেগ দিয়ে সৃষ্টি কর কামাতুর ফাগুন।
তোমরা মিথ্যের মায়াজালে বন্দী কর অশ্রুবিগলিত নারীমন।
তোমরা মায়াবী মন্ত্রবলে যখন তখন শ্রাবণ নামিয়ে
নাগপাশে বাঁধো ভাদু-বৈশাখী-ফাল্গুনীদের।
এবার একবার ভালো করে চেয়ে দেখো তোমাদের চেনা আরশি গুলোতে
চেয়ে দেখো-ঐ স্নিগ্ধ নিষ্পাপ প্রতিবিম্বগুলো থেকে
একে একে খসে পড়ে গেছে
কার্তিকেয় চাহনি,কেশচূড়ার পুচ্ছদাম,কুন্দসম দন্তরাশি।
শুধু পড়ে আছে
লম্পট দৃষ্টি-রক্তমাখা অধর-লকলকে জিহ্বা-
করাল বিষদন্ত-ধারালো নখাগ্র আর নৃশংস মুখমন্ডল।