দুর্গা প্রতিমা গড়তে বেশ্যালয়ের মাটি
কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু পুজো মন্ডপ নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। কাশফুলের সাদর আমন্ত্রণে আবারও বাঙালি উৎসবমুখর হবে! আর দুর্গোৎসব তো বাঙালির প্রাণের উৎসব ! তাই তো কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। দুর্গা প্রতিমা গড়তে গোবর, গঙ্গা জল, ধানের শীষ , গোমূত্র যেমন প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনই বেশ্যালয়ের মাটি লাগে প্রতিমা নির্মাণে! কিন্তু কেন ? আসলে দেবী দুর্গা সমগ্র নারী জাতির এক অখন্ড রূপ। আর সমাজে কেউই ব্রাত্য নন, এমনকি পতিতারাও । পুরুষরা তাঁদের সারা জীবনের পুণ্য পতিতালয়ে গিয়ে দিয়ে আসেন। আর পুরুষদের সেই পুণ্যের বোঝায় সমৃদ্ধ হয় পতিতালয়ের মাটি। অপরদিকে কামুক পুরুষরা পতিতালয় থেকে পাপের বোঝা নিজ গৃহে নিয়ে আসেন। কথিত আছে, এই বেশ্যাদের ক্ষমতা নাকি দেবতাদের থেকেও বেশি ! ইন্দ্রত্ব লাভের আশায় যখন ঋষি বিশ্বামিত্র কঠোর তপস্যা করছিলেন, তখন তাঁর ধ্যান ভঙ্গ করবার জন্য দেবরাজ ইন্দ্র সেখানে মেনকাকে প্রেরণ করেন। আর মেনকার নৃত্যে বিশ্বামিত্রের ধ্যান ভঙ্গ হয় ! তাই তো আজও অষ্টকন্যার মাটি সংগ্রহের পরে নবম কন্যা রূপে পতিতালয়ের মাটি সংগ্রহ করা হয় ! কিন্তু এই নবকন্যার নামগুলো কি ? কাপালিক, নর্তকী, নাপিতানি, ধোপানি, শূদ্রাণী, ব্রাহ্মণী, মালিনী, গোয়ালিনী এবং পতিতা !