একা বসে থাকলেই তোর প্রসঙ্গ
মনের গভীরে থেকে বাইরে
বের হয়ে আসতে চায়!
পলাশ,মন্দার, বেলি, আর জুঁই ফুলের
গন্ধে মোহিত হয় এই পৃথিবী
আর আমি অনবরত আহত হই,
বসন্তের সুমিষ্ট বাতাসে!
মনে করতে পারিনা কবে
ভালোবাসার কথা হয়েছে!
আজও শিহরিত হই প্রথম স্পর্শ-
তোর হাত আমার হাতে!
ভুলে গেছিস হয়তো সেই স্পর্শ ।
মনে হয় ভালোবেসেছি
আমি এক পাষাণ মূর্তিকে
যার দৃষ্টি নেই, বাকশক্তিও নেই।
ভুলে গেছি আমি তোর কণ্ঠস্বরও,
আনন্দে ঝনকৃত সেই সব শব্দ ;
ভুলে যাচ্ছি তোর ওই চোখ দুটো,
মালির ডালি থেকে পড়ে যাওয়া
অনাদর ফুলের মত আমি
তোরই তো অস্পষ্ট স্মৃতির ভেতরে।
শুধু একের পরে এক আঘাতের
যন্ত্রণাগুলো সঙ্গী করে জীবনযাপন!
স্পর্শ চাই না এতো তাড়াতাড়ি,
অনারোগ্য হতে পারে টাটকা ক্ষতগুলো ।
তোর করুনার সুশ্রুষাগুলো আবার
সব কিছু ভুলিয়ে দেয় ,
যেরকম পুরোনো প্লাস্টার খসে যাওয়া
দেয়াল বেয়ে ওঠে মাধবীলতাগুলি।
কিন্তু করুণার প্রলেপ চাই না আর!
তোর ভালোবাসা পেয়ে আমিও
ভুলে গিয়েছিলাম নিজের অস্তিত্ব!
আজও মনের প্রতিটি জানালা জুড়ে
চোখে ভাসে তোরই প্রিয় মুখ।
তোরই কারণে, এই আসন্ন বর্ষার বর্ষণসিক্ত
সোদা মাটির গন্ধ আমাকে যন্ত্রণা দেয়;
তোরই কারণে আমি আবার কোন এক
প্রত্যাশা-চিহ্নে খুঁজে ফিরি আশার আলোক,
নির্ঘুম আকাশ থেকে ছিটকে পরা
বিক্ষিপ্ত নক্ষত্রদের ঘেঁটে ঘেঁটে
তোরই অস্তিত্ব খুঁজে ফিরি।