কেন যে বার বার হোঁচট খাচ্ছি, যাচ্ছি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
ভুল পথে? কেন আমার সকল স্বপ্ন
দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়? আনন্দের কলি ফুল হওয়ার আগেই ঝরে যায়
ধুলোয়, ঝরার মুহূর্তে ভুল হয়ে
কীটদলকে আমন্ত্রণ জানায়। পাথরে
ঠোকর খেতে খেতে দু’পা ভীষণ জখমি। মরা জ্যোৎস্নায়
রক্ত বিন্দুগুলো নক্ষত্র হওয়ার ভড়ং-এ মশগুল, আমি
রক্তপিপাসু মাকড়সার জালে আটকে পড়ে থাকি।
ইচ্ছে হয় এক ঝটকায় হিংস্র জাল ছিঁড়ে
বেরিয়ে আসি খোলা হাওয়ায়, সতেজ সবুজে
আঁজলা ভরে পান করে ঝর্ণাধারা মেটাই তৃষ্ণা,
ধুয়ে ফেলি সকল ক্ষত, ভোরের তাজা আলোয়
রূপান্তরিত হই নব্য মানবে। যার হাত পাহাড়
টলিয়ে জর্জরিত জমিনে ফলাবে ফসল এবং
হতাশায় নুয়ে পড়া, ঘুমে বিহ্বল পথিকদের জাগিয়ে তুলবে।
অথচ আমার সময় বড় কম। উপহাস, ধিক্কার, চরম ঘৃণা
আমার উদ্যামের অঙ্করটিকে ছিঁড়ে ডাস্টবিনে
ছুঁড়ে দেয় ক্ষুধার্ত কুকুরের খাদ্য হওয়ার জন্যে! আমার
ব্যাকুল আবেদন, আমার স্বপ্নের মহিমার কথা,
যুগবদলের ব্যাকুলতা আগ্রাহ্য থেকে যায় অনেকের কাছে;
আমার স্বপ্ন ছেঁড়া ন্যাকড়ার মতো মুখ থুবড়ে
পড়ে থাকে ধুলোয়। চকিতে ক্লান্ত চোখে পড়ে, তিনজন
আগ্রহী কিশোর আমার স্বপ্ন কুড়িয়ে নিয়ে তেজি পতাকা বানায়।