তুমি যখন যেখানেই যাও, মনে মনে আমি তোমার সঙ্গে থাকি!
মেঘ হয়ে পালকের শরীরে তোমার আকাশে ভাসি!
দূর থেকেই দেখবো, দুচোখ ভরে। যেমন করে পথচারী পাকদন্ডী পথ বেয়ে দূরের পর্বতমালার রোদমাখা সোনালী শৃঙ্গের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকে!
ডাক নাম ধরে ডাকবো না তোমায়
ডাকবো না প্রিয় বলে,
তবু আকাশের গায়ে ভাসমান মেঘের সাথে দু চার টি কথা বলে, ভাব জমাবো মনটি ভরে।
তুমি তখন উড়ন্ত রথে, কোথায় কতো দূরে, সোঁদা গন্ধে মাখা তোমার ছায়া বৃষ্টি হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তুমি ভ্রমনকারী হয়ে লঘু মরালের মতো উড়ে চলো কিন্নর কিন্নরির দেশে!
তাই দূর থেকেই দেখবো তোমায় দু চোখ ভরে।
ডাকবো না প্রিয়তম বলে। মনে মনেই বলবো যতো না বলা কথা, বাতাসের শরীরে কান পেতে শুনে নিও আমার সকল চুপ কথা!
রাত জাগা পাখি টি জানে, আমার জেগে থাকার কারণ, অকারণ! আর আমার প্রতিক্ষা, ঠিক যেন মাটির প্রতিমার মতোন, একভাবে পুজারী দিকে চেয়ে থাকা!
আকাশে বুকে মেঘের মন্দ্রিত মহামায়া। কোজাগরী রাতের আকাশের মোহময়ী চাঁদ! স্নিগ্ধ রূপালী হাসির আড়ালে বুকে ওর গভীর কালো দাগ!
হঠৎ শুনি তোমার মেঘমন্দ্রিত ধ্বনি!
আমি জেগে উঠি, ছলছল চোখে হেসে বলি, তুমি যখন যেখানেই যাও না কেন, জল তরঙ্গের মতো ঢেউ তুলে তোমার মনের ভিতর বাজতে থাকি!