আলিঙ্গনের জন্য প্রসারিত দুই হাত,ডাকছে সবাই কে।
সেই ডাক কারো কানে হয়ত পৌঁছে গেছে,
কিন্তু বিদ্ধ করতে পারছে না অন্তঃস্থল কে।
আবার কারো কানে পৌঁছানোর আগেই; সে ডাক যাচ্ছে লুট হয়ে,
যেমন পাখির নীড় থেকে-
সদ্য ফোটা ছানা তুলে নিয়ে যায় চিল।
কেউ’বা সে ডাক শুনেও ,
না শোনার করছে ভান,
আবার সেই ডাক পৌঁছছে এমন কারো কানে;
যে বন্দী অন্ধকার কারাগারে,
ছটফট করে মরে , জালে পড়া হরিনীর মতো !!
তবু সে ডাকের নেই কোন বিরাম,
সেই প্রসারিত হাত,এক মুহুর্তের জন্য ও
নেয়না বিশ্রাম।
সে ডেকে চলে যুগ যুগান্তর ধরে,
অবিশ্রান্ত ভাবে।
অনেকে তাদের ছ্যাতলা ধরা মন নিয়ে ভাবছে,
সে ডাক গেছে থেমে।
সে ডাক আজও আছে বলে,
কারো চোখে শ্রাবণের বৃষ্টি নামে।
সেই দুই হাতে মাঝে আছে দৃঢ় প্রত্যয়-
তার ডাকে সাড়া দেবে একদিন,কেউ না কেউ ;
সে স্বপ্ন দেখে তার ডাকে সাড়া দিয়ে:
এগিয়ে আসছে অসংখ্য মানুষ,
যাদের হাত নির্মল আকাশ ছুঁতে চায়,
যাদের মনে নেই – লোভ ভয় সংশয় ।
আছে শুধু সত্যনিষ্ঠা ,
বিশ্বস্ততা ও পরষ্পরের প্রতি ভালোবাসা,
সোনালী সেই দিনের কথা ভেবে
আজকের এই বিভৎসতার দিনেও –
সেই চোখে খুশির বন্যা নামে।।