কখনো তুমি রুদ্রতাপস কখনো জটাধারী –
কখনো নীলাম্বর দূরে থাকো তুমি।
গগনের বুকে চাঁদ তারা খেলে
কখনো বিদ্যুতের ক্ষণপ্রভা।
তোমার সাথে আমার ছোট থেকে আড়ি ভাব খেলা,
জন্মের থেকেই একপ্রকার হৃদ্যতা আমার-
তপ্ত গগনতলে তৈল মাখিয়ে শুয়ে রাখতেন মা
আকাশকে বলতেন পাহারা দিস কন্যাকে–
বড় হবার সাথে সাথে কত কথা হত আকাশপানে চেয়ে,
সুখে ও দুঃখের সময় তোমার বিস্তীর্ণ বক্ষে স্হান দিতে।
তোমার রূপের ছটায় বিহ্বল থাকি আমি!
প্রত্যুষের সকালে তুমি অপরূপা !
গোধুলিতে তোমার রক্তিম ছটা!
বর্ষায় সজল নয়না কালো রূপ!
শরতে তোমার নীলাকাশ রূপ দেখে দিগন্ত জুড়ে ছুটে বেড়াই !
কত সাদা খামে পত্র লিখি তোমায়–
মেঘপুঞ্জের সাথে কল্পনায় কত রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়,
তোমার মেঘ ছানাদের সাথে ভাসতে ভাসতে
ঘুরে বেড়াই নীলাকাশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
কখনো ধূসর কখনো সাদা কখনো রক্তিম কখনো তুমি নীল–
শরতের প্রাক্কালে নীলাম্বরী শাড়িতে মেঘ বালিকার সাথে তোমার কাছে যেতে চাই–
তুমি বলবে চলে এসো প্রিয়া,আছি তোমার অপেক্ষায়–
এখানে আকাশ নীল !
মেঘপরীর পিঠে চড়ে উঠে এসো
আমার কোলে,
আমি তোমার অপেক্ষায় আছি!
পারাবার , নীলাকাশ নীলাম্বরী শাড়িতে নীলের মহামিলন ঘটুক।