আমি দিবাযামী,
ধূলিমলিন দেহে হামাগুড়ি দিই
সারাটা উঠোন জুড়ে
বিদীর্ণ বুকে পূর্ণ-জাগ্রত কৃষাণীর
শ্রম-শুদ্ধ স্বপ্নকে
বুনি অভিমানী খড়ের আঁচড়ে,
হিমধরা শীতে, তীক্ষ্ণ মননে
কুয়াশার ধুম্র কাটিয়ে
বিষন্নতায় ডুবে থাকি সারাক্ষণ,
কালের ক্ষয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন পথের
গোপন কোণে জমা থেকে যায়
কতশত কাহিনীর ছন্দপতন,
বিরহী অক্ষর খুঁড়ে
মুগ্ধ বিমূঢ় নয়ন জুড়ে
সহস্র বছর পরেও রবীন্দ্রনাথের ঘরে-বাইরে
কিম্বা কোনো পান্ডুলিপির হলুদ পাতার আড়ালে,
সংগোপনে সীমাহীন দুঃখ নিয়ে
পড়ে রই অন্তিম সময়ের অপেক্ষায়।