চৈতী বেলায় শেষ বসন্তে সর্বনাশের ছায়া,
দহন বেলার ছোঁয়ায় আকুল অহেতুক মোহ মায়া।
সর্বনাশা সে আমন্ত্রণের অযাচিত সুঘ্রাণে,
আকুল হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ছুটে গেছি তার টানে।
আমের মুকুল পুরুষ্টু হয়ে সেজে ওঠে রঙে রসে।
চৈতি প্রহরে আগুন ছোঁয়ায় পুড়ে যাই ভালোবেসে।
শেষের প্রহরে দহন জ্বালায় সর্বনাশের মোহ,
পাকে পাকে ঘেরে শঙ্খ মিথুন অনাবশ্যক দ্রোহ।
মনের গহনে রঙ নিয়ে চোখে রাঙিয়ে তুলেছি যাকে।
অজাগর প্রেম নিষ্ঠুর হয়ে জড়িয়েছে পাকে পাকে।
কেউ ভালোবেসে বসন্ত শেষে বলে গেছে ‘চলে যাই,’
জানি আমি ফিরে আসবে আবার অকারণে হাসি তাই।
রঙে রসে ভরে দিয়েছি তবুও শূন্যতা বুক জুড়ে,
হৃদয়ে আমার সাধের কামনা মরে গেছে জ্বলে পুড়ে।