কিছু টাকায় কেনা কলম ,
যুগ ধরে তুমি হয়েছো ক্রীতদাস!
হে কলম! হে লেখনী! কতকাল থাকবে নিশ্চুপ!
তোমার লেখনীতে সকল কবির সুখে দুঃখে কাটে বারোমাস।
তুমি কত কষ্ট করে লিখে গেছো যুগান্তকারী ইতিহাস!
শত সহস্র কোটি মানুষের কত স্বপ্নের কথা!
তোমার লেখনীতে অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশী কখনো মরুকেতন
গীতবিতান, গীতাঞ্জলি।
কখনো তোমার মসীর গর্ভযন্ত্রনা,!
তোমার ব্যথা! কখনো কেউ অনুভব করেছে কি!
তুমি নিরপরাধ তবুও পেয়েছো নানান কটুক্তি!
তুমি যুগান্তর ধরে লিখে গিয়েছো নানান ইতিহাস!
হেনরি লুই ডিভিয়ান ডিরোজিও তোমার মসী দিয়ে অসি চালিয়ে ইতিহাসের বুকে ঝড় তুলেছিল।
তোমাকে অবলম্বন করে সকল সাংবাদিক, সাহিত্যিক,কবি তোমাকে রক্তাক্ত করে শিরোপা পেয়েছেন,!
কখনো তুমি লেখনীর দাবানলে কষ্ট পেয়েছ!
কখনো প্রেমের ঝড়ে বিধ্বস্ত!
কখনো বিচারকের একটি স্বাক্ষরে আশির্বাদ বা অভিশাপ পেয়েছো!
হে লেখনী ,কতকাল বোবা হয়ে থাকবে!
‘কলমের বোবাকথা ‘ হয়ত কিছু কবির মনে আগুন জ্বালিয়েছিল!
যারা সারাজীবন উপকার পেয়ে গেছে
বিনিময়ে রেখে গেছে নানা কটুকথা!
তাইতো তোমার মুখে লেগে থাকা কালি তাঁদের কাছে
কালির কলঙ্ক চিহ্ন মনে হয়েছে!
তুমি এমন ক্রীতদাস হয়েছ তোমার কোনোদিন কোনও সময় বিশ্রাম নেই!
হে কলম, জাগো!
বিদ্রোহ করো!
তাহলে পৃথিবীটা কেমন স্তব্ধ হবে দেখো!
তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব! সবাই বুঝতে শিখুক!
চলুক প্রতিবাদের ঝড়!
পার্কার,বল পেন, যাই হও না কেন , তোমাকে নিংড়ে ব্যবহার করবে!
কিন্তু নষ্ট হয়ে গেলে তোমার উপকার ভুলে যাবে!
তোমাকে ময়লার ফেলার পাত্রে নিক্ষিপ্ত করবে।
তুমি একাকিত্বের ব্যথা যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ইতিহাস হয়ে যাবে!
কলমের কথা কে আর মনে রাখবে!