আমি হতে পারি ঝড়, নয়তো
ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ঈশান কোনের জমাটবাঁধা
ধূম্র জটাজুট হয়ে থাকব দিনভর,
ভালোবাসার দমকা হাওয়ায় উড়িয়ে
দেবো বিষনিঃশ্বাস ভরা বিশ্বাসের রঙমহল
আমার আঁখিতে জ্বলে সর্বনাশা আগুন,
ধ্বংসাত্বক প্রেমের আগুনে সকল ছলচাতুরীর
আশ্রয় কে পুড়িয়ে করি ছারখার,
বুকের চোরাবালির বালিয়াড়িতে ডুবিয়ে সকল স্বপ্ন
ছিনিয়ে নিতে পারি আমি হাজার প্রেমের আলাপ!
স্মৃতির ঘুণধরা চৌকাঠ ভেঙে
কাঁপিয়ে তুলি অস্থিমজ্জা;
ধ্বংসের চরকায় পিষে চলি
আবেগি হৃদয়ের অন্দরমহল!!
হতে পারি আমি তৃষ্ণার্ত হৃদয়,
রৌদ্রদগ্ধ গ্রীষ্মের দুপুরের নিদারুণ বুকফাটা
হাহাকার হয়ে রব আমি পিপাসার্ত হৃদয়ে
আমৃত্যু বয়ে যাব সঙ্গোপনে;
অদৃশ্য চুম্বনের বিষাক্ত জ্বালায় করে তুলবো
বধির অথবা বিকলাঙ্গ, নই আমি ভালোবাসার প্রেয়সী;
সভ্যতার শত সহস্র কলঙ্ক গায়ে মেখে
স্পর্শে জাগাই ভয়াল সর্বনাশ!
পোড়া কপালের ক্যানভাসে লালন করি বিতৃষ্ণা,
বিকৃত আকাঙ্ক্ষার অবর্ণনীয় কষ্টে
জ্বালাই স্বপ্নের বাতিঘর; বিষাক্ত দংশনে রক্তাক্ত করি
স্থবির হৃদয়, ঘটাই সময়ের ছন্দপতন!!
হতে পারি আমি ষোড়শী কিমবা অষ্টাদশী তরুণী
এক উদাস রৌদ্রকরোজ্জ্বল দুপুরে ক্ষনিকের
এলোমেলো বাতাসে উড়িয়ে অবিন্যস্ত কেশরাশি
লিখে ফেলতে পারি নির্ঝরের করুন কাহিনী,
কৃষ্ণচূড়ার ছায়াতলে বসে তোমার
কল্পিত রূপের মূর্তি গড়ি ঘুণ পোকাদের সাথে;
কিমবা কল্প দেশের গহীন অরণ্যে বসে তোমার প্রেমের পুঞ্জিভূত
মেঘালয়ে ভেসে স্বপ্ননীড়ে তোমায় খুঁজি!
অনন্ত ঘুম পিপাসায় দীঘল আঁখির
আদিগন্ত সমুদ্রের কার্নিশে ভেজা অদৃশ্য স্বপ্নচিঠির
ছায়া পড়ে রবে চিত্রিত জল-জোছনার বুক জুড়ে;
আমার চপল চাহনির মদিরায় ডুবে থাকবে
তোমার মুকুলিত ভালোবাসার নববসন্ত!
মননের স্বপ্নময় ভালোবাসার গন্ধে
পাগল করে তুলতে পারি স্মৃতির পাতা!!