সেই দিন তিনি খুব ভোরে উঠে উপভোগ করে ফেললেন বর্ষাকাল
কোকিল ও স্ত্রী
সাগরদ্বীপের বাড়ি, বাড়িতে দাসদাসী, বউ, নাপিত
স্ত্রীর জন্যে এনে রেখেছেন কিছু মেয়ে
রাত্রে ভাল না লাগলে সিঁড়ির ঘরে গিয়ে পড়াশোনা করেন
ভোরে ঘুমিয়ে, বিকেলে উঠে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান
শেষজীবন তিনি কবিতা লিখে কাটিয়ে দেবেন স্থির করলেন।
ঝড় হোক বৃষ্টি হোক চৌধুরীবাড়ির পালকি হ্রদ দেখাতে নিয়ে যেত
সাথে থাকত কাঁচা কফি, দুধ, দ্রাক্ষা
এবং স্ত্রীকে বলা থাকত সেসব রাত্রে তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি হয়
যে কোনও একটি ময়ূর হলে তাঁর চলে যাবে— এই যা একটু বিমিশ্রতা
তাও—শেষজীবন তিনি কবিতা লিখে কাটিয়ে দিচ্ছেন, স্থির করলেন।
এবার নয়টি প্রদীপ জ্বেলে মানুষকে স্থাপত্য, থইথই ও কীর্তন থেকে রস
দিতে নামলেন।
শিষ্যরা তাঁর পায়ে গ্রীষ্মকালে কলা ও কুমড়ো দিয়ে যেত
এবং সেখান থেকে তারা সংখ্যায় সংখ্যায় ছড়িয়ে পড়ত পরগনার ভেতর
শেষজীবন তিনি কবিতা লিখে কাটিয়ে দিচ্ছেন, স্থির করলেন।
’৭১ সালে পূর্ত বিভাগ থেকে তাঁকে একটি পক্ষীঘোড়া উপহার দেওয়া হল
তিনি বোকা ও ধীমান উভয় শ্রেণিকে সাহায্য করেছিলেন
রোমহর্ষ গুহাগুলি চিনিয়ে দিতে
যেগুলির ভেতর বসে কাজ করতেন অধ্যাপক ও কিছু তরুণ
আজকাল যে কোনও সমিতি থেকে ফিরে এসে বাগানে গিয়ে বসেন
বাগানে তখন হেমন্তকাল থাকে, ভৃত্য চা দিয়ে যায়
আর ডান দিকে মগ্ন হয়ে বসে থাকেন গৃহপালিত স্ত্রী।
শেষজীবন তিনি কবিতা লিখে কাটিয়ে দিচ্ছেন—স্থির করলেন।