–প্রথম পঙক্তি , একটু বাবু হয়ে বসো তো ,
তোমাকে মনের মতন একটু সাজাতে চাই।
— তাই ? তা কি দিয়ে সাজাবে আমায় ?
–এই তোমার ললাট আর নাসিকা জুড়ে
এঁকে দিলাম অগরু চন্দনের অলকা তিলকা ।
কর্ণমূলে একাদশী চাঁদের ঝুমঝুমি ।
কুন্তলে গুঁজে দিচ্ছি চৈতালি রাতের রূপকথা ।
— তুমি তো আমাকে নারী ভেবে সাজাচ্ছো ।
–দ্যাখো , যতক্ষণ আমি ভাবছি তুমি নারী
তুমি আপাদমস্তক নারী হয়েই থাকবে।
পুরুষ রূপে কল্পনা করলে সর্বাঙ্গীন পুরুষ।
–কেন , আমি কি উভলিঙ্গ নাকি ?
–তোমার লিঙ্গ আমি নির্মাণ করি শব্দ যাদুতে !
এবার কেমন করে তোমাকে পুরুষ সাজাচ্ছি দ্যাখো ।
কি আশ্চর্য লক্ষ্য করো , যেই ভেবেছি
মিশকালো রাতে ঝাউবনের তিরতিরে পাতার কথা ,
তোমার নাকের ডগায় কেমন কুচকুচে
গোঁফ গজিয়ে উঠেছে !
কল্পনার বালিয়াড়িতে একাদশী চাঁদ ডুবে গিয়ে
তোমার কর্ণমূল কি রকম
ধূ ধূ ফাঁকা হয়ে গেছে !
শব্দ ধ্যানে আরব সাগরের ঢেউ এসে
তোমার আলুলায়িত কুন্তলের রূপকথা
ভাসিয়ে নিয়ে গেল !
এই তো মালিনীর মুকুর ধরেছি
দ্যাখো , ঢেউয়ের প্রচ্ছায়া এসে তোমার
ন্যাড়া মাথার উপরে কেমন
কোঁকড়ানো বাবরি চুল দিয়ে গেছে !
প্রথম পঙক্তি হকচকিয়ে গিয়ে বলল
— বুঝলাম তুমি এক শব্দের যাদুকর ,
এবার আমার দোসর দ্বিতীয় পঙক্তিকে
এনে দাও , বড্ড একা লাগছে ।
আমি দ্বিতীয় পঙক্তি আঁকতে বসলাম ।