চেন্নাইয়ের প্রত্যূষের সুনীল আকাশ সাবলীল
মিশে যায় সকালে ঢাকার নিভে-ব্লু আসমানে। মনে পড়ে,
শ্যামলীর বাড়িতে এখন
ওরা ঘুমে অচেতন; সম্ভবত টিয়া রান্নাঘরে
প্রাতরাশ তৈরি করে জিরোচ্ছে খানিক। দীপিতা কি বিছানার
ওমটুকু ছেড়ে চোখ কচলাতে কচলাতে খুঁজছে মায়ের
কোলের আশ্রয়? এইমাত্র গলিপথে কেউ কেউ
বেরিয়েছে বাড়ি ছেড়ে স্বাস্থ্যের সন্ধানে সুবাতাসে।
জানিনা কখন কোন্ ক্ষণে ঘরে ফিরে
যাব এই নীল সমুদ্দুর, এই অটো-অধ্যুষিত
পথ, এই জরুরি শঙ্কর নেত্রালয়, অপারেশানের
উদ্বেগমথিত প্রহরের অবসানে। এই অতিথিশালায়
ঘুম থেকে জেগে শুনি কাকের কোরাস,
কখনও কখনও ভেসে আসে যেন কোকিলের গান
প্রত্যূষের নিঝুম প্রহরে। এ আমার
বিভ্রম হ’লেও ক্ষতি নেই, শুয়ে শুয়ে ঘরে ফেরার মুহূর্তে গুণি।
অকস্মাৎ মনে হয়, ভেলা আমি ভাসিয়েছি সমুদ্রের বুকে,
গন্তব্য অজানা আর পাথেয় কিছুই নেই, শুধু
এক সংজ্ঞাহীন চঞ্চলতা বাইরে এনেছে টেনে
ভেঙে চুরমার হলে ভেলা, ভোজ্য হবো কিছু জলজ প্রাণীর।