চল্লিশ পেরিয়ে কোন নারীর, আর কন্যা হওয়া যায় না।
মায়ের মমতা ও তখন তাকে বারংবার পূর্ণাঙ্গ নারী শিক্ষায় ব্রতী করে।
তার ভালবাসার তর্জনী তখন ত্যাগ ও চরিত্র শোধনের বিশ্লেষণ বোঝায়।
কিন্তু সেই নারীর মনের কোণে লুকিয়ে থাকা মেয়ে বেলা সজল চোখে উঁকি মারতেই থাকে মিথ্যা প্রশ্রয়ের আশায়।
সূর্য ঢলেছে। ছায়াও কিঞ্চিত হয়েছে বৃহৎ।
তবুও ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতে চায় মন।
আমার অযাচিত ছেলে মানুষগুলো ছেলে মানুষী বলেই জেনো।
তাতে না আছে অধিকারের বজ্রনাদ না আছে দাবীর দামামা।
ছিন্ন মূল আমি।
বন্যার নোনাপানির ভাটায় থেমে গেছি গোষ্পদে।
সৃষ্টির বৃক্ষ কবেই সমূলে উৎপাটন করেছে আমাকে
তাতেও লড়াই করি বেঁচে থাকার রণ কৌশলের কৌশলে।
ঐ দূরে যায় চলে সাঁঝবেলার হাত ধরে মেয়ে বেলা ….
শৈশবের কাঁধে ভারী ধাতুর স্মৃতি।
ফিরতে চাইলেই কি ফেরা যায়?
মা হেসে বলে, “চল্লিশের এই অবেলায় এতো দূরে …”
তাই চল্লিশ পেরিয়ে আর কন্যা হওয়া হলো না।