এলোমেলো
বিন্যস্ত খরা কাটিয়ে-
আকাশের বুকে জমে থাকা মেঘে বৃষ্টি নামে,
সারা বছরের ঘাম ধুয়ে, দৌড় শেষে…;
ধামসা মাদলের তালে-
বসন্ত চোখ টিপে মুচকি হাসে!
ছায়া ছায়া উপত্যকায় ….@ কৃষ্ণকলি
রাঙা পলাশের আঁচল বিছিয়ে রাখে …
কাতর ভ্রমরের মতো আহ্বানে কাছে ডাকে-
-বলে….তোমাকে চাই সম্পূর্ণ করে;
বসন্তের আদুল গায়ে রক্তিম ঠোঁট চেপে ধরে…
বন্ধনহীন ফাগের ঝড় তোলে..!
রোজকার তাড়াহুড়োর জীবন যখন তলানিতে ঠেকে;
ঘুপচির অন্ধকার কেটে……@বসন্ত
এসে দাঁড়ায় ভেজানো জানালার পাশে।
কপাট খুলে দিলেই… বসন্তের গল্পগুলো বুকে ঘর বাঁধে;
এমন কিছু আহামরি নয়!…তবুও,
বসন্ত আছে বলেই ভালোবাসা শব্দ হয়ে থাকে!
বসন্ত এলে, মৌবনে দেয় দোলা,
একরাশ ভালোবাসা নিয়ে –
হলুদ করবী গাছ….লতিয়ে ওঠে!
কৃষ্ণচূড়ার লাল ফাগুনে তৃষ্ণার্ত আগুন জ্বলে।
তুমি ছোবে বলে-
রঙীন আবিরে আমার হাত রাঙিয়েছি..।
যৌবনের মত্ত প্রেমে লজ্জা ভাসিয়ে
বসন্ত, তুড়ি মেরে সব সংস্কার চুরমার করে…
নিষ্কাম কী সকাম প্রেমের বন্দরে নোঙর গাড়ে…!
বসন্তে দহন আছে,
…তবুও,
প্রেম এতো মধুর লাগে!!