গিয়েছিল তো তাকেই ভালবেসে
কেন ফিরে এলো তবে সে?
শ্বশুর ঘর থেকে বাপের ঘরে
ডিভোর্স নিয়ে কেন এলো ফিরে?
বললে বাবা সে কি রে মেয়ে
অশ্রু নামে দু’চোখ বেয়ে
ভাবিস না,দেব আবার বিয়ে
ভাল পাত্রের খবর নিয়ে।
বাবার কাছে খবর এলো
বয়স্ক বিপত্নীক পাত্র ভালো
উত্তরাধিকার নেই যে তার
বংশধরের আশায় বিয়ে আবার।
বিষয় আশয় মন্দ নয়
হবে সে কোটিপতি নিশ্চয়
বয়সের ফারাক আর ভাবলে হয়
শুভলগ্নে দিল মালা পাত্রের গলায়।
কোটিপতির ঘরে থাকবে মেয়ে সুখে
লাখপতি বাবা গর্ব করে বলেন মুখে
অহঙ্কারী গর্বিত বাবা ছিলেন নিশ্চিত মনে
ভাবেনি নামবে আঁধার আদুরে মেয়ের জীবনে।
থাকুক শ্বশুর ঘরে সমবয়সী সতীন কন্যা
পয়সার গদিতে বসে হবে যে সে অনন্যা
দেখল না তাই বয়সটা মেয়ের তাকিয়ে
বুদ্ধিমতী মেয়ে তো নেবে সে মানিয়ে।
হোক না শ্বশুর জামাই সমবয়সী
পুত্র সুখে মেয়ে হবে আনন্দে বাণভাসি
হঠাৎ নিয়তির ঝড়ে পুড়ল মেয়ের মুখ
পোড়াকপালে সইল না স্বামীর সুখ।
গেলেন স্বামী পরলোকে চন্দনের গন্ধ মেখে
ঘরে একমাত্র বংশপ্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে
দেখবে না আর রাঙানো সিঁথি আয়নায়
ছড়াল খবর ভাঙা জানলায়,
কি হবে এবার মেয়ের গতি
মেয়ে কি থাকবে শেষ পর্যন্ত সতী?